1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
ইউপি চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করলো কিশোরী মোঃ আশিকুর রহমান তুষার, বাউফল উপজেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের অষ্টম শ্রেণীর সেই শিক্ষার্থী নাজনিন আক্তার (১৪) বিয়ের একদিন পরই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করেছে। রোববার সকালে প্রেমিক রমজানের মামা বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় নাজনিন। বর্তমানে কুম্ভখালী গ্রামের মামা শ্বশুর বাড়িতেই আছেন নাজনিন। এদিকে, চেয়ারম্যানকে তালাক দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিচারপ্রার্থী কিশোরীকে বিয়ে করে চেয়ারম্যান বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক ও পারিবারিক চাপসহ আইনী জটিলতা এড়াতে চেয়ারম্যান কৌশলে কিশোরীর কাছ থেকে তালাকনামা রেখেছেন। অবশ্য কিশোরী নাজনিন বলেছেন, রোববার ভোরে তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এখন তিনি শৃংখলমুক্ত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মে মাসে কনকদিয়া ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নজরুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে নাজনিনের সঙ্গে নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠি গ্রামের গার্মেন্টকর্মী সোহেলের বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে সম্মতি ছিল না নাজনিনের। তাছাড়া নাজনিনের সঙ্গে তার গৃহশিক্ষক রমজানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন সোহেল, নাজনিন ও রমজানের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। শুক্রবার কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে মীমাংসার জন্য যান উভয় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে সোহেল ও নাজনিনের বিয়ে বিচ্ছেদ করেন চেয়ারম্যান। শালিস বৈঠকে নাজনিন রমজানের সঙ্গে সংসার করতে চায়। এ সময় চেয়ারম্যান নাজনিনকে দেখে পছন্দ করেন। তিনি নাজনিনের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এছাড়াও রমজান গরীব, তোমাকে খাওয়াবে কি? আমাকে বিয়ে করলে ভবিষ্যত ভাল হবে এসব কথা বলে নাজনিনকে নানা প্রলোভন দেখান চেয়ারম্যান। নাজনিনের সম্মতি নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাজী ডেকে চেয়ারম্যান বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। চেয়ারম্যানের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে বিয়ে করেছেন। চেয়ারম্যানের অসম বিয়ের পর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। চেয়ারম্যানের একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, বিয়ের পর সামাজিক ও পারিবারিকসহ নানা চাপে চেয়ারম্যান বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তারপরই তিনি বিয়ে ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একদিন পরই শনিবার সন্ধ্যায় কাজী ডেকে নাজনিনের কাছ থেকে তালাকনামা রাখেন তিনি। অবশ্য চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, মেয়েটি তার প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে চায়। সে সুখে থাকতে চায়। আমি জোর করে কারও সঙ্গে সংসার করতে চাই না। বিয়ের পর আমার ঘরেই ছিল নাজনিন। নাজনিন বলেন, আমার সিদ্ধান্তেই চেয়ারম্যানকে বিয়ে করেছি। আবার আমিই তাকে তালাক দিয়েছি। আজ রমজানের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। আমার জন্য রমজান আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। সে হাসপাতাল থেকে ফিরে এসেছে। আমি এখন তাকে নিয়েই সংসার করতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন। এদিকে, কিশোরীকে বিয়ে করার অপরাধে চেয়ারম্যানের কোন শাস্তি হবে কি না? এমন প্রশ্নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে, যদি বাল্যবিয়ের ঘটনা হয় তাহলে চেয়ারম্যানকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। - dainikbijoyerbani.com
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
ad

ইউপি চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করলো কিশোরী মোঃ আশিকুর রহমান তুষার, বাউফল উপজেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের অষ্টম শ্রেণীর সেই শিক্ষার্থী নাজনিন আক্তার (১৪) বিয়ের একদিন পরই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করেছে। রোববার সকালে প্রেমিক রমজানের মামা বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় নাজনিন। বর্তমানে কুম্ভখালী গ্রামের মামা শ্বশুর বাড়িতেই আছেন নাজনিন। এদিকে, চেয়ারম্যানকে তালাক দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিচারপ্রার্থী কিশোরীকে বিয়ে করে চেয়ারম্যান বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক ও পারিবারিক চাপসহ আইনী জটিলতা এড়াতে চেয়ারম্যান কৌশলে কিশোরীর কাছ থেকে তালাকনামা রেখেছেন। অবশ্য কিশোরী নাজনিন বলেছেন, রোববার ভোরে তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এখন তিনি শৃংখলমুক্ত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মে মাসে কনকদিয়া ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নজরুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে নাজনিনের সঙ্গে নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠি গ্রামের গার্মেন্টকর্মী সোহেলের বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে সম্মতি ছিল না নাজনিনের। তাছাড়া নাজনিনের সঙ্গে তার গৃহশিক্ষক রমজানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন সোহেল, নাজনিন ও রমজানের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। শুক্রবার কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে মীমাংসার জন্য যান উভয় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে সোহেল ও নাজনিনের বিয়ে বিচ্ছেদ করেন চেয়ারম্যান। শালিস বৈঠকে নাজনিন রমজানের সঙ্গে সংসার করতে চায়। এ সময় চেয়ারম্যান নাজনিনকে দেখে পছন্দ করেন। তিনি নাজনিনের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এছাড়াও রমজান গরীব, তোমাকে খাওয়াবে কি? আমাকে বিয়ে করলে ভবিষ্যত ভাল হবে এসব কথা বলে নাজনিনকে নানা প্রলোভন দেখান চেয়ারম্যান। নাজনিনের সম্মতি নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাজী ডেকে চেয়ারম্যান বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। চেয়ারম্যানের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে বিয়ে করেছেন। চেয়ারম্যানের অসম বিয়ের পর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। চেয়ারম্যানের একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, বিয়ের পর সামাজিক ও পারিবারিকসহ নানা চাপে চেয়ারম্যান বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তারপরই তিনি বিয়ে ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একদিন পরই শনিবার সন্ধ্যায় কাজী ডেকে নাজনিনের কাছ থেকে তালাকনামা রাখেন তিনি। অবশ্য চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, মেয়েটি তার প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে চায়। সে সুখে থাকতে চায়। আমি জোর করে কারও সঙ্গে সংসার করতে চাই না। বিয়ের পর আমার ঘরেই ছিল নাজনিন। নাজনিন বলেন, আমার সিদ্ধান্তেই চেয়ারম্যানকে বিয়ে করেছি। আবার আমিই তাকে তালাক দিয়েছি। আজ রমজানের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। আমার জন্য রমজান আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। সে হাসপাতাল থেকে ফিরে এসেছে। আমি এখন তাকে নিয়েই সংসার করতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন। এদিকে, কিশোরীকে বিয়ে করার অপরাধে চেয়ারম্যানের কোন শাস্তি হবে কি না? এমন প্রশ্নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে, যদি বাল্যবিয়ের ঘটনা হয় তাহলে চেয়ারম্যানকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১
  • ১৩৩ Time View

ইউপি চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করলো কিশোরী

মোঃ আশিকুর রহমান তুষার, বাউফল
উপজেলা প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের অষ্টম শ্রেণীর সেই শিক্ষার্থী নাজনিন আক্তার (১৪) বিয়ের একদিন পরই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করেছে।
রোববার সকালে প্রেমিক রমজানের মামা বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় নাজনিন।

বর্তমানে কুম্ভখালী গ্রামের মামা শ্বশুর বাড়িতেই আছেন নাজনিন।

এদিকে, চেয়ারম্যানকে তালাক দেয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

অনেকেই মনে করছেন, বিচারপ্রার্থী কিশোরীকে বিয়ে করে চেয়ারম্যান বিপাকে পড়েছেন। সামাজিক ও পারিবারিক চাপসহ আইনী জটিলতা এড়াতে চেয়ারম্যান কৌশলে কিশোরীর কাছ থেকে তালাকনামা রেখেছেন।

অবশ্য কিশোরী নাজনিন বলেছেন, রোববার ভোরে তার প্রেমিক রমজানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এখন তিনি শৃংখলমুক্ত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মে মাসে কনকদিয়া ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার নজরুল ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে নাজনিনের সঙ্গে নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠি গ্রামের গার্মেন্টকর্মী সোহেলের বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে সম্মতি ছিল না নাজনিনের। তাছাড়া নাজনিনের সঙ্গে তার গৃহশিক্ষক রমজানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন সোহেল, নাজনিন ও রমজানের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। শুক্রবার কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে মীমাংসার জন্য যান উভয় পরিবারের সদস্যরা।

সেখানে সোহেল ও নাজনিনের বিয়ে বিচ্ছেদ করেন চেয়ারম্যান। শালিস বৈঠকে নাজনিন রমজানের সঙ্গে সংসার করতে চায়। এ সময় চেয়ারম্যান নাজনিনকে দেখে পছন্দ করেন। তিনি নাজনিনের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

এছাড়াও রমজান গরীব, তোমাকে খাওয়াবে কি? আমাকে বিয়ে করলে ভবিষ্যত ভাল হবে এসব কথা বলে নাজনিনকে নানা প্রলোভন দেখান চেয়ারম্যান। নাজনিনের সম্মতি নিয়ে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাজী ডেকে চেয়ারম্যান বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন। চেয়ারম্যানের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে বিয়ে করেছেন। চেয়ারম্যানের অসম বিয়ের পর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

চেয়ারম্যানের একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, বিয়ের পর সামাজিক ও পারিবারিকসহ নানা চাপে চেয়ারম্যান বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তারপরই তিনি বিয়ে ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একদিন পরই শনিবার সন্ধ্যায় কাজী ডেকে নাজনিনের কাছ থেকে তালাকনামা রাখেন তিনি।

অবশ্য চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, মেয়েটি তার প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে চায়। সে সুখে থাকতে চায়। আমি জোর করে কারও সঙ্গে সংসার করতে চাই না। বিয়ের পর আমার ঘরেই ছিল নাজনিন।

নাজনিন বলেন, আমার সিদ্ধান্তেই চেয়ারম্যানকে বিয়ে করেছি। আবার আমিই তাকে তালাক দিয়েছি। আজ রমজানের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। আমার জন্য রমজান আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। সে হাসপাতাল থেকে ফিরে এসেছে। আমি এখন তাকে নিয়েই সংসার করতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন।

এদিকে, কিশোরীকে বিয়ে করার অপরাধে চেয়ারম্যানের কোন শাস্তি হবে কি না? এমন প্রশ্নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে, যদি বাল্যবিয়ের ঘটনা হয় তাহলে চেয়ারম্যানকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি