মোঃ আশিকুর রহমান তুষার, বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি:
বাউফলের মৃৎ শিল্পীদের তৈরি পণ্য সামগ্রী বিক্রি হচেছ ইউরেপ ও আমেরিকার বাজারে। এই সুবাধে শহরের কাগুজী পুল পালপাড়া, কনকদিয়া ও বগা বন্দরের দোয়ানি ও পাঁচআনি এলাকায় গড়ে উঠেছে মৃৎ শিল্পের বিশাল সাম্রাজ্য। স্থানীয় ভাবে এসব মৃৎ শিল্পীদের পাল বলা হয় । তারা কাঁদা মাটির এ আদি শিল্পকে এখনও ধরে রেখেছেন । সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রায় সহস্রাধিক পরিবার জড়িত রয়েছেন এ শিল্পের সাথে। পুরুষ মহিলারা একত্রে কাজ করছেন। কেউ কাঁদা ঘুটছেন, কেউ চাকতি ঘুরাচ্ছেন, কেউবা আবার তৈরী করছেন নানা ধরণের পন্য। এসব পন্য রঙ করার পর প্যাকেটজাত করে সরবরাহ করা হচ্ছে । সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরগম থাকে এসব এলাকা। মৌসুমে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার পন্য বিক্রি হয় ঢাকার আড়ং, ঢাকা হ্যান্ডি ক্র্যাফট্স, হিট হ্যান্ডি ক্র্যাফট্স এবং কারিতাসের প্রকল্প কোর-দি জুটওয়ার্কে। এসব প্রতিষ্ঠান এখান থেকে মগ, প্লেট, তরকারির বাটি, মিষ্টির বাটি, জগ, ফলপ্লেট, পা-ঘষনি, ফুলদানী, চায়ের কাপ-প্রিচ, ডিনার সেট, মোমদানী, এ্যাস্ট্রে, কয়েল দানী ও নানা ধরণের পুতুলসহ দৃষ্টিনন্দন নানা মাটির পন্য সামগ্রী তৈরি করে নিয়ে যান। আর তাদের মাধ্যমে এসব পণ্য সামগ্রী চলে যায় ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে। কোন ধরণের ক্যামিক্যাল ছাড়াই পোড়া মাটি দিয়ে এসব পন্য গুলোতে রং করা হয়। বিশেষ করে লাইট ওয়ারেঞ্জ রং এর মধ্যে মনমুগ্ধকর কালো যে সেট দেয়া হয় তা একটি গাছের কস দিয়ে তৈরী করছেন তারা।
বাউফল কাগুজিপুল পাল পাড়ার একটি মৃৎ শিল্পের মালিক বরুন পাল জানান, তাদের তৈরি বিভিন্ন পন্য সামগ্রীর বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করতে পারছেননা। মাটির তৈরি সামগ্রীগুলোতে হাতে রং করতে হয়। তাদের কোন স্প্রে মেশিন নেই। নেই বৈদ্যুতিক চুল্লি। রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংক কিংবা বে-সরকারি ব্যাংক থেকে তাদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদা করা হলে এ শিল্পের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে ।
Leave a Reply