মোঃখায়রুল ইসলাম হৃদয়.
বিশেষ প্রতিনিধি (মুন্সিগঞ্জ).
ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য দেওয়ায় গ্রাম পুলিশের সদস্য মৌসুমী আক্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মৌসুমী আক্তার মুন্সীগঞ্জ জেলা গ্রাম পুলিশের সভাপতি ও বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমিটি কর্মচারী ইউনিয়নের মহিলা সম্পাদিকা ও মহিলা সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৮/০৯/২০২২ইং বিকেল ৪টায় টংগীবাড়ি থানার এসআই রতন বৌরাগী ও বিকাশ সরকার উত্তর বেতকা উদয়ন রাইস মিলের পাশে দাড়িয়ে মিলন তালুকদারকে দেখিয়ে বলেন মৌসুমী আপনি ইনাকে চেনেন। উনি তো ইয়াবা ব্যবসায়ী। এদের বিরুদ্ধে কেন তথ্য দেন না। এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমি আগেও তথ্য দিয়ে কোন বিচার পাইনি। বরঞ্চ আমি হয়রানীর শিকার হয়েছি এবং আমার ছেলেকে বিপদগামী করার চেষ্টা করেছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী মিলন তালুকদারের কাছ থেকে ২১টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের পর ১০টি দেখানোর বিষয় তুলে ধরায় এবং মিলন তালুকদারকে ধরিয়ে দেওয়ায় তাৎক্ষণিক গ্রাম পুলিশের পোষাক পড়া মৌসুমীকে জুয়েল তালুকদার, শাহজালাল ও ফরিদ খান শারীরিকভাবে পুলিশ ও জনগণের সামনেই মারধর করে। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। মিলন তালুকদারের স্ত্রী কহিনুর বেগম, শালী সাজেদা বেগম, মেয়ে তানিয়া বেগম ও বোন জুলেখা মৌসুমীর শরীরে বিভিন্ন গোপন অংশে আঘাত করে লিলা, ফুলা ও জখম করে। এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। যাহার নং ৪৯৫, তারিখ: ১০/০৯/২০২২খ্রি:।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ি থানার এসআই বিকাশ সরকার বলেন, ঐদিন যতটি ইয়াবা ধরা হয়েছে। ততটিই দেখানো হয়েছে। তবে মৌসুমীকে মারার বিষয়টি আমাদের সামনে ঘটেনি। পরে আমরা শুনেছি যে, তাকে মারধর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টংঙ্গীবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজীব খান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত। থানায় জিডি হয়েছে এবং বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।