হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধি:
ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে নারীর কাজের স্বীকৃতি, উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২৬ জুলাই ২০২১ বিকেল ৪ টায় নারীর ক্ষমতায়ন ও বর্তমান অবস্থা উপলক্ষে "উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নারী" র্শীষক জুম ওয়েবিনার টকশোর আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক দেবরা ইফরইমসন এর সভাপতিত্বে শান্তনু বিশ্বাসের সঞ্চালনায়, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসরাত জাহান কনক, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, বরিশাল; খন্দকার কোহিনুর আখতার, সহকারী অধ্যাপক আইন বিভাগ, বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়; ডাক্তার উম্মে হুমায়েরা কানেতা, মেডিকেল অফিসার, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং গাউস পিয়ারী, পরিচালক ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট।খবর বাপসনিউজ।
বক্তারা বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে নারী প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা, ৮ বছরের বেশি সময় মহান জাতীয় সংসদেও স্পীকার নারীই দায়িত্বে রয়েছে। পাশাপাশি নারী বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, বিজ্ঞ আইনজীবি ও উন্নয়ন কর্মী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের নেতীত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আছে। সাফল্য আছে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সামাজিক পরিস্থিতিতে। পাশাপাশি কিন্তু বড় সমস্যা হয়ে আছে নারীর প্রতি সহিংসতা, নারীকে অবজ্ঞা, পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অবমূল্যায়ন, নারীর গৃহস্থালী কাজকে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি প্রদান না করা। কিছু কিছু পণ্যেও বিজ্ঞাপনে নারীর যোগ্যতার চেয়ে তার পোশাক বা রূপ বা বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনীকে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসাবে উপস্থান করা হচ্ছে। নারীর কৃষি কাজকেও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। নারীর প্রতি এই সকল বৈষম্য দূর করা এখনোও বড় চ্যালেঞ্জ। যা কিনা অর্জনগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলছে। এই সব আচরনের কালো থাবায় ক্রমেই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষের বিবেক।
বক্তারা আরো বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি’স) অন্যতম প্রতিপাদ্য হল: কাউকে পিছনে পেলে রাখা যাবে না। এসডিজি’স জোরদার ও সফল করে তুলতে প্রয়োজন সবার একত্রিত চেষ্টা ও পরিবর্তনের মনোভাব থাকা দরকার। তা না হলে, লিঙ্গবৈষম্য দূর করা এবং সব নারীর ক্ষমতায়ন করার ব্যাপারটি মোটেও খুব একটা সহজ কাজ হবে না। তাই পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে নারীর কাজকে মূল্যায়নের জন্য বিশেষ করে এই সমতা ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রক্রিয়াকে জোরদার করার আহবান জানান।