উপকূলে জলোচ্ছ্বাসে ৮শ পরিবার পানিবন্দি, দেয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মোংলার প্রায় ৮শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলার চিলা, চাঁদপাই ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের পশুর ও মোংলা নদীর পাড়ের পরিবারগুলোই জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পানিবন্দি এ সকল পরিবারকে উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য বুধবার দুপুর থেকেই উপজেলা প্রশাসন নানা তৎপরতা শুরু করেছেন। বুধবার সকাল থেকে এ এলাকায় থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টিপাত বয়ে যাচ্ছে, কখনও আবার রোদ্রজ্জল আবহাওয়া বিরাজ করছে। পৌরসভার কাইনমারী স্লুইস গেইট ও মাছমারার রাস্তা উপচে পানি ঢুকেছে পৌর শহরেও। তবে ভাটার সময় বেশির ভাগ এলাকার পানি নেমে গেছে। তবে ভয় রয়েছে এখন রাতের জোয়ারের। আশংকা রয়েছে রাতের জোয়ারে পানি আরো বাড়ার এবং ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতিরও। এদিকে দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সকল বিদেশী জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ চলছে বলে জানান বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দিন। দুযোর্গ মোকাবেলা ও সার্বিক পরিস্থিতিতে সকল ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের। মোংলায় প্রস্তুত থাকা ১০৪টি আশ্রয় কেন্দ্রের কোথাও লোকজন ওঠার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া অতিরিক্ত পানির চাপে সুন্দরবনের বিভিন্ন অফিসেও পানি উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বনবিভাগের কিছু ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনারও। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, বুধবারের দুপুরের জোয়ারে উপজেলার চিলা, চাঁদপাই ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় ৮শ পরিববার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। তাদেরকে উদ্ধারের পাশাপাশি খাদ্য সহায়তাও দেয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোথাও বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি।