শাকির হায়দার..
গাইবান্ধায় মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে শতাধিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউএনওসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্থানীয় রিপন মিয়া নামের এক ব্যক্তি ৭ই সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর ২২৭/২১।
সোমবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর দুপুরে মামলাটি গাইবান্দা আদালত শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। আগামী ৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। মামলার বাদি রিপন মিয়ার আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় মূল আসামি করা হয়েছে চন্ডিপুর এফ হক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আমিন হোসেন, অফিস সহকারী ফিরোজ কবির ও সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রশিদ, মোজাহিদুল সরকার, সাইফুল এবং হাবিবুর রহমানকে। সহযোগী হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়েছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক শাখার সুন্দরগঞ্জ ব্যবস্থাপক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুর ও পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির তালিকায় নাম ও তথ্য ঠিক ছিল। কিন্তু কৌশলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করেন চন্ডিপুর এফ হক স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সাবেক সভাপতিসহ কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারীরা।
পরে এসব শিক্ষার্থীর মোবাইল একাউন্টে কয়েক কিস্তিতে আসা উপবৃত্তির মোট ৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন তারা। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগের পর সরেজমিন তদন্তে উপবৃত্তি আত্মসাতসহ অধ্যক্ষ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের জড়িত থাকার প্রামাণও পায় উপজেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও শিক্ষা অধিদপ্তর জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এমনকি উপবৃত্তির টাকা ফেরতও পাননি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
তিনি জানান, মোবাইল নাম্বার পরিবর্তনের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতে জড়িতদের বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরতের দাবিতে আদালতে প্রতিনিধিত্ব মূলক মামলা করেন রিপন মিয়া। আগামী ৭ অক্টোবর মামলার শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৩০ জুন বিবাদী সাবেক অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ প্রেরণ করা হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।