আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া মডেল থানার চৌকস অফিসার এসআই সাহেব আলীর সফল অভিযানে কুষ্টিয়া থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার এবং ৩ জন চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর ভোরবেলা কুষ্টিয়া এন এস রোড সংলগ্ন ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিচে অবস্থিত “ও এস টেলিকম ” নামক মোবাইলের দোকানের তালা কেটে নামি- দামি ব্রান্ডের মোট ৯৪ টি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১৫ লক্ষ টাকা।
পরে দোকানের মালিক বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং – ৩০, তারিখ ২৯/১০/২০২১ ইং। মামলাটির তদন্তকারী অফিসার আইও হিসেবে এসআই সাহেব আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোন রকম ক্লু ছাড়াই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অনুসন্ধানী তদন্ত শুরু করেন মামলার আয়ু এসআই সাহেব আলী। দীর্ঘ কয়েকদিন কঠোর পরিশ্রম ও অনুসন্ধানী তদন্তের পর আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহার করে কললিস্ট এবং মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে চোরের লোকেশনের অবস্থান জানতে সক্ষম হয়। বিষয়টি এসআই সাহেব আলী কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলমকে অবহিত করেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলমের নির্দেশনায় মডেল থানার এসআই সাহেব আলী ও জগতী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মেহেদী হাসান মুন্নু সহ সংগীয় ফোর্স চোরের অবস্থান লোকেশন অনুযায়ী চট্টগ্রামে অভিযানের জন্য রওনা হয়। একটানা ৫ দিন অভিযান পরিচালনা করার পর চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানাধীন বেলাখান মসজিদ পাড়া এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে মোবাইল চোর কুমিল্লা মুরাদনগর থানাধীন বাহাদুরপুর এলাকার মৃত আব্দুল মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া (৩০) কে গ্রেফতার করা হয় এবং তার নিকট থেকে চোরাইকৃত ১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী বাদশার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযানিক দল চট্টগ্রাম আনোয়ারা থানাধীন বুরুমচারা এলাকার মৃত ছাবের আলীর ছেলে শুকুর আলী (২৫) কে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেন। এরপর গ্রেফতারকৃত দুজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযানিক দল আরেকটি চোরকে ধরার জন্য কুমিল্লার দিকে রওনা হয়। অভিযানিক দল কুমিল্লায় পৌছালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাম্ম্যনবাড়িয়া থানাধীন পোমকারা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আলমগীর হোসেন ওরফে মালু (৪২) কে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের কুষ্টিয়া মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সাহেব আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, চরির ঘটনার পর দোকান মালিক কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সুত্র ধরে আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কল লিস্ট ও নাম্বার ট্রেকিং করে ৩ জন চোরকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করেছি। অপরাধী যত বড় শক্তিশালী এবং চালাক হোকনা কেনো তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল আলম জানান, পুলিশের সফল অভিযানের মাধ্যমে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য আসামীদের ২ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply