এসআই হাসান এর লাশ কেশবপুরে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন
মোঃ নজরুল ইসলামযশোর জেলা প্রতিনিধি
যশোর জেলার কেশবপুর থানার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে বসবাসকারি ভ্যানচালক আব্দুর জব্বার ছেলে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান আলী দায়িত্ব পালন করছিলেন পাবনা জেলার আতাইকুলা থানায়। সেখান হাসান আলী শনিবার রাতে আতাইকুলা থানার ছাদের উপর নিজের রিভলবার দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন। রবিবার লাশের ময়না তদন্তের পর রাতে পাবনা পুলিশ লাইনে জানাজা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এসময় তার সাথে আসেন পাবনা পুলিশ লাইনের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশের একটি দল।
নিহত উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান আলীর লাশ আজ সোমবার (২২ মার্চ) ভোরেরাতে কেশবপুরের গ্রামের বাড়িতে পৌছালে এসময় গোটা এলাকায় শোকের মাতম শুরু হয়। সেইসাথে তাকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লোকজন ভিড় জমায় আব্দুর জব্বারের বাড়িতে।
কফিনে রাখা ছেলের লাশ দেখে গুলিতে নিহত হাসানের বাবা আব্দুর জব্বার ও মা আলেয়া বেগম আর্তনাদ করতে করতে বার বার বলতে থাকেন আমাদের ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। ছেলের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত দাবি করেন তাঁরা।
সোমবার সকাল ৮ টায় গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে নিহত হাসান আলীর লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশ নেন কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ অসংখ্য মানুষ।
ছেলের লাশ দাফনের সময় নিহত হাসানের বাবা ভ্যান চালক আব্দুর জব্বার বিলাপ করতে করতে বলেন- আমার ছেলেকে সব সময় বলতাম বাবা তুমি সৎ থেক। কখনও অসৎ ভাবে টাকা উপর্জন করো না। সৎ পথে থাকার কারণেই আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। যারা সৎ থাকে তাদের পদে পদে অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়।
মা আলেয়া বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, শুক্রবার খুলনায় তার বিসিএস পরীক্ষা ছিল। কিন্ত ছুটি না পাওয়ায় তার পরীক্ষা দেওয়া হলো না। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরো বলেন, ছেলে তাকে জানিয়েছে আতাইকুলা থানার ওসি স্যার অন্যদের ছুটি দিলেও তাকে (ছেলে) ছুটি দেননি।
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৭১