হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মহান আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে গত ৮ আগস্ট,সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।খবর বাপসনিউজ।
এ উপলক্ষে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদ ও মপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাহেদুল ইসলাম ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ। পরে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম হাসিবুল আলম অংশগ্রহণ করেন। প্রতিরক্ষা সচিব হাসিবুল আলম তার বক্তব্যে বঙ্গমাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতির পিতার জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতার ভূমিকার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইসলাম তার বক্তৃতায় পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি বঙ্গমাতার অসামান্য আত্মত্যাগের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জীবনে তার প্রভাব এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারণে তার নেপথ্যের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডেপুটি চীফ অব মিশন ফেরদৌসি শাহরিয়ার, প্রখ্যাত সাংবাদিক রোকেয়া হায়দার ও কাউন্সেলর আরিফা রহমান রুমা। কাউন্সেলর এবং হেড অফ চ্যান্সেরী মাহমুদুল ইসলাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
আলোচনা শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অন্যান্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এর আগে প্রতিরক্ষা সচিব ও রাষ্ট্রদূত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।