1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
কক্সবাজারে এক মামলায় ওসি’ মনিরুল গিয়াস ১০ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ - dainikbijoyerbani.com
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
ad

কক্সবাজারে এক মামলায় ওসি’ মনিরুল গিয়াস ১০ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৩ মে, ২০২১
  • ৫৫ Time View

কক্সবাজারে এক মামলায় ওসি’ মনিরুল গিয়াস ১০ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ

বিরোধপূর্ণ হোটেল অবৈধভাবে জবর দখল করে দিতে একপক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে  সরকার দলীয় রাজনৈতিক কর্মী ও ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি’র বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম.এ মোনাফ সিকদার, জেলা প্রজন্মলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবাইদুল হোছাইন ও ব্যবসায়ী গুরা মিয়া। রোববার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার রিপোর্টাস ইউনিটি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা প্রজন্মলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবাইদুল হোছাইন বলেন, গত ১৩ই এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনস্থ আমার আত্মীয় রিদুয়ান ছিদ্দিকের মালিকানাধীন “হোটেল স্বপ্ন রিসোর্ট” টি পুলিশের সাথে আতাঁত করে জবর দখলের চেষ্টা চালায় একাধিক ইয়াবা মামলার আসামী ও জেল ফেরত ঈদগাঁও চালালাবাদ এলাকার মৃত রিয়াজের পুত্র মোঃ নাসির। এই সময় জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে গড়িমসি করে। একপর্যায়ে ঘটনার ১ ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাসির, কলাতলীর সবুজসহ ৩ জন দুস্কৃতিকারীকে ঘটনাস্থল হতে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তুলে। কিন্তু তাৎক্ষনিক কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনিরুল গীয়াসের নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটককৃত ৩ জনকে  ছেড়ে দেয়। পাশাপাশি তাদের কথামত রিসোর্টে তালা মেরে চাবি ওসি সাহেবের নিকট জমা দেয় পুলিশ। ওই তারিখেই ১৮ জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দেয়া হয়। কিন্তু ওসি উক্ত এজাহার নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজু করেনি। পরে ইয়াবা ব্যবসায়ি নাছিরকে অবৈধভাবে হোটেল দখল করিয়ে দিতে নগদে ১০ লাখ টাকা নেয় ওসি। তারপর তার মিশন সফল করতে সম্প্রতি ফেইসবুকে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের নামে বিভিন্ন মানহানিকর ও অনৈতিক পোষ্ট প্রচার এর ঘটনায় রেকর্ডকৃত একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আমাকে ২নং আসামী করা হয়।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম.এ মোনাফ সিকদার বলেন, শফিক খাঁন নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলে আসছিল। এই ঘটনায় পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। ওই মামলায় শফিক খান নামক ফেইসবুক আইডিধারিকে ১নং আসামী করা হলেও আমাকে ৩নং আসামী করা হয়েছে। যা আমি কিছুই জানিনা। মূলত আমার আত্মীয়ের হোটেল কলাতলীর স্বপ্ন রিসোর্ট অবৈধভাবে দখল করে দেয়ার মিশনে পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানেরও ইন্দন রয়েছে। যেকারনে ওসিকে নগদ টাকায় ম্যানেজ করে আমাকেও আসামী করা হয়েছে। না হলে আমি এই আইডির কোন স্ট্যাটাস শেয়ার, লাইক বা কমেন্ট এর সাথে কোন ভাবেই সম্পৃক্ত নাই।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ি গুরা মিয়া জানান, গত ২৮ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনিরুল গিয়াস জি.আর-২৭৭/২০২১ নং মামলাটি থানায় রুজু করেন। এই মামলায় আমাকেও আসামী করা হয়েছে। কিন্তু আমি ফেইসবুক সর্ম্পকে তেমন কিছুই জানিনা। তাছাড়া গত এক বছর ধরে আমার কোন স্মার্ট ফোনও নেই। তারপরেও কেন আসামী হলাম জানিনা। আমি ওসি’র ঘুষ বাণিজ্যের বিচার দাবী করছি।

হোটেল মালিক রিদুয়ান ছিদ্দিক জানান, মূলত এস.আই মোঃ দস্তগীর হোসেন ও ওসি মনিরুল গীয়াস আমার হোটেলটি ইয়াবা ব্যবসায়ি নাছিরকে দখল করে দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার আত্মীয় স্বজনদের বিরদ্ধে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি দিয়ে হয়রানী করছে। আমি এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ওসি বিচার দাবী করছি।

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) শেখ মনিরুল গীয়াস বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এখানে টাকা লেনদেনের কোন প্রশ্নই আসে না। এটি আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্ত করার জন্যই টাকা লেনদেনের মত জগন্যতম অভিযোগ আনা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ডের পর নানা অভিযোগ ওঠায় ইতিপূর্বে সঠিক তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সুপারের নির্দেশে থানা থেকে মামলাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় নিয়ে আসার কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই মামলায় প্রকৃত অপরাধী ছাড়া কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি হয়রানীর শিকার হবে না বলে তিনি জানান।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি