কচুয়ায় ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
মোঃ জুয়েল রানা,কচুয়া(চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ চাঁদপুরের কচুয়ায় ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন "লাল সম্পর্ক রক্তদান সংগঠন" এর উদ্যোগে শত শত তাওহীদি জনতাকে সাথে নিয়ে উপজেলার পালাখাল বাজার এবং বাস ষ্টেশনে সংগঠন এর আহবায়ক, মুহা.রিজন পাটোয়ারীর সভপতিত্বে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে যোগদান করেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কচুয়া উপজেলার সভাপতি, মুহা.ইমান হোসাইন জহির সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ইসলামি ছাত্রনেতা, মুহা.ইমান হোসাইন জহির বলেন, আমরা আজ যে কর্মসূচি পালন করেছি, তা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।
আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা বাইতুল মোকাদ্দাসের প্রতি কেন এতো মায়া ফিলিস্তিন মুসলমান সহ সকল মুসলমানের। আমরা জানিনা কেন ফিলিস্তিনের মুসলমান বাইতুল মোকাদ্দসের জন্য এতো রক্ত ঝড়াচ্ছেন।
সংগ্রামী তাওহীদি জনতা আমাদের বুঝতে হবে এই মোকাদ্দাস তো সেই মোকাদ্দাস, যে মোকাদ্দাসে ১-রাকাত নামাজ পড়লে ৫শত রাকাত পড়ার মর্যাদা দান করা হয়।
এই মোকাদ্দাস তো সেই মোকাদ্দাস, যেখানে সকল নবীদের নিয়ে একটি জামাতই হয়েছিলো যা বিশ্বের কোথাও হয়নি, যে জামাতের ইমাম হয়েছিলেন আমার নবী আপনার নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ),যার কারনে আমরা ইমামুল আম্বিয়া বলে থাকি।
এই বাইতুল মোকাদ্দাস তো সেই জায়গা, যেখান থেকে আমার রাসূল (সঃ)'বোরাক' নামক বাহনে করে ৭-আসমান ভেদ করে উর্ধ আকাশে গিয়েছিলেন।
এটাতো সেই স্টেশন, যেখান থেকে মহা আকাশে সফর শুরু হয়েছিল।
এটাতো সেই মোকাদ্দাস, হযরত সোলাইমান (আঃ) এমন পাথর উঠাইয়া ছিলেন জ্বীনদের দিয়ে এমন পাথর আর কোনো দিন ওঠানো যাবেনা, সেই পাথরটাই তো ব্যবহার করা আছে মোকাদ্দাসে।
এটা তো সেই যায়গা, যেখানে দাজ্জাল আসার পর দাজ্জালকে হত্যা করে বিশ্ববাসীকে ফেতনা থেকে বাঁচানো হবে।
সুতরাং বাইতুল মোকাদ্দাসের এই দিনে যদি কোনো মুসলমানের মোকাদ্দাসের প্রতি টান না থাকে মায়া না থাকে, তাহলে আমি বলবো তার ইমানে তাদের বিশ্বাস কম আছে।
মুহা.ইমান হোসাইন জহির আরো বলেন,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই, আপনি সংসদীয় জায়গা থেকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইজরাঈলের কর্মকান্ডে নিন্দা জানিয়েছেন।
কিন্তু আপনাকে এই পোগ্রাম থেকে একটি ম্যাসেজ দিতে চাই, আপনি নিন্দা জানিয়েই আপনার দ্বায়িত্ব শেষ মনে করবেন না, বাইতুল মোকাদ্দাস সহ দ্বীনের স্বার্থে বিশ্বের যে কোনো রাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে সেনাবাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
আর যদি সেনাবাহিনী পাঠাতে সমস্যা মনে করেন, তাহলে আমাকে সহ আমাদের তাওহীদি জনতা পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
আমরা লক্ষ-কোটি তাওহীদি জনতা প্রস্তুত দ্বীনের স্বার্থে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে।
পরিশেষে ছাত্র নেতা মুহাম্মদ ইমান হোসাইন জহির এর মোনাজাতের মাধ্যমে মানববন্ধন ও কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।