কপিলমুনিতে দু'সন্তানের জনক কর্তৃক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা,স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করতে বিয়ের সিদ্ধান্ত
খুলনা জেলা প্রতিনিধি
৭ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে প্রলুব্ধ করে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন অত:পর ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ায় পারিবারিক চাপে মামলার ঝামেলা এড়াতে অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছে ধর্ষক দু'সন্তানের জনক আব্দুল্লাহ মোড়ল(৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগরে গ্রামে।
আব্দুল্লাহ কাশিমনগর গ্রামের ইউসুফ মোড়লের ছেলে এবং ২ সন্তানের জনক।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, আব্দুল্লাহ মোড়ল (৩৫) প্রতিবেশী একই গ্রামের হাবিবুর রহমান ওরফে হবি মোড়লের ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে। প্রথমত বিষয়টি গোপন থাকলেও বর্তমানে কিশোরী ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ায় সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। অন্ত:সত্ত্বা কিশোরী বিষয়টি তার পরিবারকে বিস্তারিত জানালে উভয় পরিবারের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশার জন্য কয়েক দফায় বসাবসি হয়। সর্বশেষ ঘটনার শিকার কিশোরীর নামে ৮ কাঠা জমি ও ২ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষে জানানো হয়।
সূত্র জানায়, আব্দুল্লাহ প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে অন্যদিকে মেয়ে পক্ষ দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় তারা বিষয়টি নিয়ে থানা কিংবা আদালতের আশ্রয় না নিয়ে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্তে ঐক্যমতে পৌছেছে। স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল্লাহ দু' সন্তানের জনক। অন্ত:সত্ত্বা কিশোরীর সমবয়সী তার একটি ছেলে রয়েছে।
এদিকে সমস্যা সমাধানে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত হলেও বাঁধ সেধেছে মেয়ের বয়স নিয়ে। মেয়ের বয়স মাত্র ১২ বছরের হওয়ায় তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি হওয়ার নয়। এমন পরিস্থিতিতে কোন রেজিস্ট্রার তাদের বিয়ে পড়াতে রাজী না হওয়ায় বয়স গোপন করে বিয়ে রেজিস্ট্রির অপচেষ্টা করছেন বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
একদিকে সন্তানের বয়সী মেয়েকে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণ অত:পর অন্ত:সত্ত্বা, অন্যদিকে বয়স না হওয়ায় বিবাহ রেজিস্ট্রিতে প্রতিবন্ধকতা উভয় সংকটে এলাকাবাসী আব্দুল্লাহকে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করে জরুরী ভিত্তিতে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে আব্দুল্লাহ মোড়লের ব্যবহৃত মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার কথা স্বিকার করে বিষয়টি মিমাংশা হয়ে গেছে বলে জানায়। এদিকে ঘটনার পর থেকে কিশোরী পরিবার লোকলজ্জা ও পারিবারিক চাপে এক প্রকার নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই প্রবাস মিত্রকে অবহিত করলে তিনি আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন।