করোনা ঝুঁকি থাকা স্বত্বেও বেনাপোলে কেউ সরকারি আইন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছেন না
তারিখ ৩১/০৫/২০২১রোজ সোমবার
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম যশোর জেলা প্রতিনিধি
সীমান্ত শহর বেনাপোল। ভারত সীমান্তবর্তী হওয়ায়, করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ও ব্লাক ফাঙ্গাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বেনাপোলবাসী। কিন্তু সচেতনতার অভাবে বেনাপোলের কেউ মানছে না স্বাস্থ্য বিধি।
"করোনা ঠেকাতে শুধু মাস্ক পরাই যথেষ্ট নয়, মানতে হবে সামাজিক দুরত্বের বিধিও" কিন্তু সে নিয়ম মানার কোন বালাই নেই তাদের মাঝে। প্রতিদিন এই শহরে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ সামাজিক দুরত্ব বিধি আর মানছে না।
এছাড়া ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরাও মানছে না সামাজিক দুরুত্ব। সেইসাথে ভারতীয় ট্রাক চালকরাও ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাধীন ভাবে। আর তাদের দায়িত্বে নিয়োজিত ডাক্তার, ইমিগ্রেশন পুলিশ, থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন কিছুটা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা বিধি মানলেও, তাদের নেই কোন পিপিই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছয়ফুট দুরত্বের কথা বললেও, সাধারন জনগন এক ফুট দূরত্বও মানছে না।
সম্প্রতি অফিস, দোকান, বাজার সবই খুলে গেছে। সেখানে লোকের পক্ষে সামাজিক দুরত্বের বিধি মানা হচ্ছে না। বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া গনপরিবহনে একটি সিটে একজন বসার কথা থাকলেও, তা মানা হচ্ছে না। একজনের কাছ থেকে ডাবল সীটের ভাড়া নিয়েও, সেখানে বসানো হচ্ছে দুজন যাত্রী। আর এনিয়ে যাত্রী ও বাস কন্ট্রাক্টরদে সাথে বাকবিতন্ডা লেগেই আছে। বাস কতৃপক্ষ যেন সুযোগের সদ ব্যবহার করছে।
এদিকে, ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের দেখ ভালের দায়িত্বে থাকা ডাক্তার, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনও রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। তাদের কারও গায়ে নেই পিপিই। শুধু মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে প্রতিদিন পাসপোর্ট যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা।
আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে পাসপোর্ট যাত্রী আসা শুরু করে। নির্দেশনা রয়েছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের সেবা দিতে হবে। কিন্তু দেখা যায় প্রতিদিন সকালে এসে এরা বেনাপোল ইমিগ্রেশনের পিছনে জড়ো হয়। যেখানে তাদের ৬ ফুট তো দুরের কথা, মানা হয় না এক ফুট দুরত্বও।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাদের দেখ ভালের দায়িত্বে থাকা ডাক্তারদের রুমেও এক সাথে ৬-৭ জন ঢুকে পড়ছে। তখন ছোট রুমটিতে ওই সব যাত্রীদের ঠাসাঠাসি করে দাঁড়াতে হয়।
এসব যাত্রীদের উন্নত সেবা ও সকল প্রশাসনের সতর্কতার সাথে কাজ করার জন্য গত ২৬ মে বেনাপোল স্থল বন্দরের সম্মেলন কক্ষে মত বিনিময় করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার এনডিসি মোঃ ইসমাইল হোসেন। ওই বৈঠকের আলোচনায় সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণভাবে স্থান পায় ভারতীয় ট্রাক চালকরা অবাধে ঘোরাফেরা করছে , তাদের নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
গত দুই দিনে দেখা গেছে, আলোচনা পর্যন্ত সব শেষ। ভারতীয় ট্রাক চালকরা বাজার, চেকপোষ্ট, সহ বিভিন্ন দোকানপাটে আড্ডা দিচ্ছে সকল বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে। প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ১ হাজার চালক ও হেলপার দেশে প্রবেশ করে।
সম্প্রতি শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলীফ রেজা যাদের মাস্ক নেই তাদের জরিমানা করায়, কিছুটা হলেও সতর্ক ছিল জনগন। আবার এ ব্যাপারে তৎপরতা শিথীল হওয়ায়, অধিকাংশ স্থানীয় সাধারন মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না।
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৮১