কলাপাড়ায় ইউএনও বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড়
কলাপাড়া -পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোঃ শহিদুল হকের বিরুদ্ধে "স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ইওনোর চাদাবাজি " এবং "বন বিভাগের অজ্ঞাতসারে অফিস চত্তরের ১০ - ১২ টি গাছ কেটে স্ব মিলে পাঠালেন ইওয়েনও শিরোনাম দিয়ে কিছু অনলাইন ও কিছু দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদের পরপরই ফুঁসে ওঠেছে উপজেলার সাধারণ সচেতন জনগণ। তারা একজন আদর্শবান প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন বানোয়াট ও মানহানীকর সংবাদে প্রকাশের বিরুদ্ধে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
উপজেলার সচেতন সাধারণ জনগনের মাধ্যমে জানাযায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন সৎ নিষ্ঠাবান ব্যাক্তি। যে কেউ তাদের সমস্যা নিয়ে তার কাছে গিয়ে অনায়াসেই সেবা গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও করোনার শুরু থেকে তার কার্যক্রম ছিলো অনেক প্রশংসিত ও চোখে পড়ার মতো।
আরো যানাযায় উপজেলার কেউ কোন দুস্থ অসহায় ব্যাক্তিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানালে এবং তাকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক তিনি তার খোঁজখবর নিতেন এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন।
তার মাধ্যমে উপজেলায় সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীরাই তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে এবং সরকারি সকল সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে।
এমন এক মহান ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
বলা হচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জাতির বিবেক ও সমাজের দর্পণ সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য তার বিরুদ্ধে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো:শহীদুল হক তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এখানে আসার অনেক বছর আগেই ঝড়ের কারনে ৩ টি ছোট গাছ পরে ছিলো অফিস চত্তরে যা নোংরা পরিবেশ তৈরি করছিলো এবং অপর ১ টি গাছ পি আই ও অফিসের ভবন নির্মানের জন্য কাটা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন করে গাছগুলো অপশন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে অফিসের ফার্নিচার তৈরির জন্য। কিন্তু এখনো সেগুলো স্ব মিলে পাঠানো হয়নি ।
তিনি আরো বলেন সংবাদে যেখানে কলাপাড়া উপজেলার সাবেক পিআইও এর যেই দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে কিন্তু তখনকার (ইউএন ও) ছিলো মুনিবুর রহমান শোভন সাহেব তার স্বাক্ষর জ্বাল করে পিআইয়ো টাকা উত্তলন করেছিল। তখন তো আমি এখানে ছিলাম না এটা আমি আসার আগের ঘটনা।
কিন্তু মিডিয়ার এর উল্টো প্রকাশ হয়েছে যা খুবই দূক্ষজনক।
তিনি আরো বলেন তার কার্যক্রমে ঈর্ষানিত হয়ে একটি মহল তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং সরকারের কাজে বাধা প্রদান করার জন্য সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে এই ধরনের প্রপাকান্ডা ছড়াচ্ছে।