স্টাফ রিপোর্টার।।
কলাপাড়ায় চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃনমূলের ভোটে সর্বাধিক ভোট পেয়েছেন চাকামইয়া ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন দফাদার। কলাপাড়া থেকে কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় তার নাম এক নম্বরে। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন চাকামইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির কেরামত হাওলাদারের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে হোসনেয়ারা দাবি করেন, ২০০৫ সালে বিএনপির গঠিত ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ মকবুল হোসেন। উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রকাশিত জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর বিশেষ স্মরণীকায় মকবুল হোসেন শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছেন। মকবুল হোসেনকে সে হাইব্রিড আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির বিতর্কিত নেতাকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিবারের কাউকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
এদিকে অভিযুক্ত মকবুল হোসেন ২০১২ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি চাকামইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রয়েছেন। মকবুল দাবি করেন, তিনি কখনও বিএনপি করেননি। স্মরণিকায় তার নাম পরিকল্পিতভাবে ছাপানো হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও তিনি তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই কার্যক্রমে অংশ নেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বলে দাবি করেন।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার জানান, মকবুল হোসেন আগে বিএনপি করত। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এখন আওয়ামী লীগ করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নসহ তিনটি ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।