সৈয়দ মোঃ রাসেল,স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে করোনার স্যাম্পল টেষ্টে শতশত মানুষের কাছ থেকে সারকারী নির্ধারিত ১০০ টাকা ফি ব্যতীত অবৈধ ভাবে জন প্রতি আরও অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে । স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ল্যাব সহকারী মোসা.লাকী আক্তার’র বিরুদ্ধে অতিরিক্ত এ টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মো.মিলন তালুকদার (মোবাঃ০১৭৩২০৩০২০৩) নামে এক অভিযোগকারী জানান, তিনি সহ তার স্ত্রী ,তার ছেলে করোনা সংক্রমিত হয়েছে কি-না পরীক্ষার জন্য পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের ল্যাবে স্যাম্পল দেন । এতে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী জন প্রতি ১০০ টাকা করে নির্ধারন করা হলেও হাসপাতালের ল্যাব সহকারী মোসা.লাকী আক্তার অতিরিক্ত আরো ১০০ টাকা করে আদায় করেছে । কেউ দিতে অস্বীকার করলে উল্টো তাদের সাথে খারাপ আচরন করা করেছে । তিনি বলেন’ তার সামনে আরো অনেকের কাছ থেকে সরকারী রেটের বাইরে অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে আদায় করেছে । এতে এ যাবৎ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে তিনি ধারনা কনছেন।
অভিযুক্ত মিলন তালুকদার আরো জানান, তিনি একটি ল্যাবের মালিক হিসেবে এ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আর,এম,ও ডা. জুনায়েদ হোসেন লেলিন তাকে টেষ্টের টাকা ফ্রি করে দেয়, অথচ তাকে ও ঘুষের ওই টাকা দিতে বাধ্য করা হয় । তিনি মান সম্মানের ভয়ে ঘুষের ওই টাকা পরিশোধ করেছেন বলে উল্লেখ করেন ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ল্যাব সহকারী মোসা.লাকী আক্তার জানান, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও তাৎক্ষনিক তিনি বলেন’ আর,এম,ও ডা. জুনায়েদ হোসেন লেলিনের সিলিপ অনুযায়ী এ টাকা নেয়া হয় ।
তবে হাপাপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ডা.জুনায়েদ হোসেন লেলিন, শুধু যার টেষ্ট হবে তার নাম উল্লেখ করে দেন, সিলিপে কোন টাকার বিষয়টি উল্লেখ নেই।
আর.এম.ও ডা.জুনায়েদ হোসেন লেলিন জানান, একটি চক্র জন প্রতি ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করতো জেনে বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে জরুরী মিটিং ডেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয় ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.চিন্ময় হাওলাদার জানান, সারকারী ১০০ টাকা ফি ব্যতীত কোন প্রকার অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই । তবে কেউ নিয়ে থাকলে তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি খেপুপাড়া শাখার আহবায়ক ও নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদার জানান, করোনাকে পুঁজি করে কেউ যদি অবৈধ অর্থ আদায় করে এতে করোনা রোগীরা ভয়েও হাসপাতালে টেষ্টের জন্য যাবে না, এতে বরং করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে । তিনি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।