মোঃ জাহিদ, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
কলাপাড়ায় চেয়ারম্যান কর্তৃক ভুল ওয়ারীশ সনদ প্রদানে ১২.৫ একর ভূমি ও জীবন হাড়াতে বসেছে সংখ্যালঘু রাখাইন পরিবার। গত ০৯ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে এমন অভিযোগ তুলে মায়া রাখাইন বলেন, কলাপাড়া উপজেলার ১০ নং বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কোম্পানী পাড়া গ্রাম নিবাসী মৃত্যু রেফো মাতুব্বরের পুত্র পুউও মাতুব্বর এর লোকান্তরে তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির ওয়ারীশ সূত্রে মালিক হন দুই পুত্র এক কন্যা। এরা হলো সিলাও মাতুব্বর, নিলাউ মাতুব্বর ও বুজান মগনী। সিলাও মাতুব্বর অবিবাহীত অবস্থায় লোকান্তরিত হইলে তাহার স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির ওয়ারীশ বিদ্যমান থাকেন এক ভাই নিলাউ মাতুব্বর ও এক বোন বুজান মগনী।
নিলাউ মাতুব্বর লোকান্তরে ছোট বালিয়াতলী মৌজায় জে এল নং ১৮, এস এ খতিয়ান নং-১৯৫, বি এস খতিয়ান নং ১০৮৭, দাগ নং-৪২১৫, ৪২১৬, ৪২১৭, ৪২১৮, ৪২১৯, ৪২২০, ৪২২১, ৪২২২, ৪২২৩, ৪২৯৬, ৪৩০৩, ৪৩০৪, ৪৭০৫, ৪৭১৬, ৪৭১৭, ৪৭২১, ৪৭২২, ৪৭৩১ মোট জমির পরিমান ২৫,৫৫ একর ভূমি তাহার নামে পাওয়া যায়। রাখাইন সম্প্রদায়ের আইনানুযায়ী কারো লোকান্তরে তাহার সম্পত্তির ওয়ারীশী মালিকানা পুত্র এবং কন্যা সমপরিমান। এ ক্ষেত্রে উল্লেখিত ভূমির সমপরিমান অংশে ১২.৭৭ একর জমি ভূমির বুজান মগনী ওয়ারীশী মালিক বিদ্যামান থাকে।
কিন্তু ১০ নং বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম হুমায়ুন কবির, বুজান মগনীর নাম বাদ দিয়ে ওয়ারীশ সনদ পত্র প্রদান করায় উক্ত সম্পত্তি স্থানীয় কুচক্রমহল জোর পূর্বক দখল করে নিচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে বসত ঘর ভেঙ্গে নিতে বলছে না নিলে তারা হত্যার হুমকী দেয়।
এ ঘটনায় মায়া রাখাইন বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় ১০জনকে আসামী করে অভিযোগ দিয়েছেন।
বর্তমানে তাদের পরিবারের মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ কিছুদিন পূর্বে উপজেলার ৪নং মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুলকে কুপিয়ে হত্যা করার আসামী মোঃ রুবেল সিকদার (৪০)সহ ১০/১২জন তাদেরকে ধাবরিয়ে বেড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান কর্তৃক ভুয়া ওয়ারীশ সনদ পত্র সংশোধন না করলে ওই সন্ত্রাসীরা যে কোনো সময় হত্যার মতো নির্মম ঘটনা ঘটাবে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এ বি এম হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে একাধিক বার মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।তাই দ্রুত সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের সড়েজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান ভুক্তভোগি মায়া রাখাইন ও তার পরিবার।