কলাপাড়ায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন।

স্টাফ রিপোর্টার:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১৩ হাজার টাকা , উত্তরা ব্যাংকের চেক ও জমা বই নেয়ার অভিযোগ সহ মাদক ব্যবসায় ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মাসে দুইটি আসামী ধরিয়ে দেয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
গতকাল সোমবার বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয় প্রেসক্লাবে মোসা .রুনা বেগম এক সংবাদ সন্মেলনে এ অভিযোগ করেন ।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে তার স্বামী মো.আমির হোসেনকে কৌশলে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন স্থানীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ । পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো.রুহুল আমিন তার চাকুরী রক্ষার্থে এক লক্ষ টাকা দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করার প্রস্তাব সহ মাসে দু’টি আসামী তাদের ধরিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয় । এতে রাজী না হওয়ায় মো.রুহুল আমিন তাদের নাবালক সন্তান সহ পরিবারের বিরুদ্ধে ৬ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২২ মে শনিবার সকাল ৮ টার দিকে বাদুরতলী তার বাড়ীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কলাপাড়া শাখার উপ-পরিদর্শক মো.মোস্তাফিজুর রহমান সহকারী উপ-পরিচালক মো.রুহুল আমিন, কনেষ্টেবল মো.জহিরুল ইসলাম, সঞ্জয় কুমার সাহা, মো.আবুল বাসার একজোট হয়ে তার স্বামীকে এলোপাথাড়ি কিল,ঘুষি ,লাথি মারে । এ সময় তিনি ও তার ছেলে স্বামী আমির হোসেনকে উদ্ধার করতে গেলে ছেলেকে মারধর করা হয় । এক পর্যায়ে মো.রুহুল আমিন ও সঞ্জয় সাহা ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ষ্টীলের আলমীরার মধ্যে থাকা পাটর্স ব্যাগ বাহির করে নিয়ে আসে। ব্যাগের মধ্যে থাকা নগদ ১৩ হাজার টাকা ও উত্তরা ব্যাংক লিঃ এর চেক বই ও জমা বই তারা নিয়ে যায় । ওই চেক বইতে তার স্বাক্ষর করা ছিল । ঘটনার সময় তার স্বামীকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করে । বর্তমানে তিনি ছেলে সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতেছেন বলে রুনা বেগম ওই সংবাদ সন্মেলনে উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মো.মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সংবাদ সন্মেলনে যাদের বিরুদ্ধে রুনা বেগম অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয় । তারা মাদক ব্যবসায়ী, সে হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ।

তবে বিষয়টি জানতে কলাপাড়া উপজেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মো.ফরহাদ হোসেনের মুঠো ফোনে ( ০১৭৯৩০০৯১৪৩ ) একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিফ করেননি ।

সৈয়দ মোঃ রাসেল
২৪.০৫.২০২১
০১৭১৬-৩৮১০২৯