সৈয়দ মোঃ রাসেল, স্টাফ রিপোর্টার।।
কলাপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার ইতিমধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাজ সুনিপুণ হাতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করেছে মৃৎশিল্পীরা। এ উপলক্ষে কলাপাড়ায় আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এই বৃহত্তর ধর্মীয় অনুষ্ঠান। কলাপাড়া থানায় নয়টি ও মহিপুর থানায় সাতটি পুজো মন্ডপ মিলিয়ে সর্বমোট ১৬ টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। কলাপাড়ায় প্রতিবছরই জমজমাটভাবে শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব পালন করা হয়। পূজাকে সামনে রেখে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা।
মৃৎশিল্পী রমেন পাল এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ২০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছি। এবার ৬টি মন্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। সময়মত এসব প্রতিমা পূজাউদযাপন কমিটির নিকট হস্তান্তর করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। তবে করোনার আগে প্রতিটি প্রতিমা তৈরি করতে ৪০/৫০ হাজার টাকা পাওয়া যেত। কিন্তু চলমান পরিস্থিতির কারনে প্রতিমা তৈরির মজুরী ২০/৩০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে।
কলাপাড়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার গনমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পূজা উদযাপনের জন্য সামগ্রিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর কলাপাড়া উপজেলায় ১৬টি পূজামন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ উৎসব সম্পন্ন করতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সংমিশ্রণে এ উপজেলায় একটি সুন্দর পূজা উদযাপনের পরিবেশ তৈরি হবে বলে আশা করেন তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কলাপাড়া উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে নতুন যোগদানকৃত কলাপাড়া ও মহিপুর থানার ওসিদ্বয় “দৈনিক বিজয়ের বাণী” প্রতিনিধিকে বলেন, অতীতের ন্যায় এ বছরও সুন্দর ও সু-শৃঙ্খলভাবে পূজা উদযাপন ও উপজেলার প্রত্যেকটি পূজামন্ডপে সরকারি বিধি মোতাবেক পূজা সম্পন্নের লক্ষে প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রস্তুতি রয়েছে।