সৈয়দ মোঃ রাসেল, স্টাফ রিপোর্টার:
কলাপাড়ায় চতুর্থধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিন ইউনিয়নে কোন ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ন ভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে উপজেলার টিয়াখালী, নীলগঞ্জ ও চাকামইয়া ইউনিয়নের ২৭ টি ভোট কেন্দ্রের ১৬১ টি বুথে শতকরা ৭৪ ভাগ ভোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেন। এতে নীলগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের মো. বাবুল মিঞা ৮০৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী হাতপাখা মার্কার মো. আনোয়ার শিকদার পেয়েছেন ৬০৪০ ভোট। এছাড়া টিয়াখালী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কলাপাড়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা ৪১০৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান শিমু মীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পেয়েছেন ৩১৫৫ ভোট। অপরদিকে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মজিবুর রহমান ২৯৮৮ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৬৪২ ভোট পেয়ে হাতপাখা মার্কার আব্দুল জলিল হেলালি দ্বিতীয় হয়েছেন। আর নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. হুমায়ন কবির ২৩৪৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
উৎসব মূখর পরিবেশে রবিবার সকাল আটটায় শুরু হয়ে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত।
আনারস প্রতীকের নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিলো বিজয়। আমরা কোন রক্তপাত হানাহানি চাই না। আমি উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত মো. বাবুল মিঞা বলেন, এ বিজয় জনগনের বিজয়। এ বিজয় নৌকার বিজয়। চাকামইয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: মজিবুর রহমান বলেন, ভোটের মাধ্যমে জনগনের রায়ের প্রতিফলন ঘটেছে। আমি আমরন চাকামইয়াবাসীর পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই।
উপজেলা নির্বাচন আফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নে মোট ১২ হাজার ৫০৫ জন, চাকামইয়া ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৫৮ জন এবং নীলগঞ্জ ইউনিয়নে ২৩ হাজার ১৯০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আবদুর রশিদ জানান, প্রশাসনিক কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই তিন ইউনিয়নের ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।