তৌহিদুল ইসলাম সরকার,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ১২ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার টাকায়। মাছটির প্রতি কেজি মূল্য পড়েছে ৬৬৬ টাকা।
শনিবার (১৫ এপ্রিল)দিবাগত রাত সাড়ে দশটায় টায় উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারে এ মাছটি বিক্রি হয়। বাজারে মাছটি দেখতে উৎসুক ক্রেতারা উপচে পড়া ভিড় করেছেন।স্থানীয়রা জানান,এর আগে তারা এত বড় মাছ দেখেননি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারে শত শত মানুষের ভীড়। এক নজর বিশাল আকৃতির কাতল মাছটি দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন তারা। বাজারের পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর কুপিবাতি জ্বালিয়ে বড় বড় মাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মাছ বিক্রেতা আসিফ ও মনির।
দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুমন মিয়া এবং আবুল মিয়া মাছটি কিনে নেন। যার প্রতি কেজির মূল্য পড়েছে ৬৬৬ টাকা। এসময় গ্রামের বাজারে বিশালাকার মাছটি দেখতে বাজার ও আশেপাশের শত শত উৎসুক লোকজন ভিড় করেন।
স্থানীয় দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারের মোদি ব্যবসায়ী আনারসহ পাঁচজনে মিলে ১২ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ৬ শত টকা কেজি দরে কিনেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট হবিগঞ্জ থেকে আসিফ(২৫) এবং মনির (২২) সিলেট থেকে বিভিন্ন জাতের মাছ ক্রয় করে দক্ষিণ জাহাঙ্গিরপুর বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। এরমধ্যে ১৮ কেজি ওজনের কাতল, ৬কেজি ওজনের কুড়াল,২০ কেজি ওজনের বোয়াল, ৬ কেজি ওজনের রুই এবং বড় আকারের বাইম মাছ ছিল।
ক্রেতা সুমন মিয়া বলেন,এত বড় কাতল মাছ এর আগে দেখি নাই। অনেকদিন ধরে খুঁজতেছি। আজ চোখে পড়লো। তাই ১৮ কেজি ওজনের কাতল মাছটি আমি ও আবুল দুইজনে কিনে নিলাম।
মো.আবুল বলেন,দাম বড় কথা নয়।কাতল মাছটি পাওয়ায় খুশি হয়েছি।অনেকদিন ধরে খুঁজতেছি।হাতের কাছে পেলাম তাই কিনে নিছি।
দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি সদস্য সোরহাব উদ্দিন বলেন, গ্রামের বাজারে এত বিশালাকার মাছ এর আগে আসেনি।এত বড় আইড় মাছ দেখতে তাই স্থানীয়রা ভীড় জমিয়েছে।
মাছ বিক্রেতা আসিফ বলেন,আমি ৫ বছর ধরে মাছ বিক্রি করি। সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে মাছ ক্রয় করে এনেছি নান্দাইলের দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারে বিক্রির জন্য। ১৮কেজি ওজনের কাতরল মাছটি ৬৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। ২০ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ১০০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। ৬ কেজি ওজনের একটি কুড়াল মাছ ৮শত টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। বাইম বিক্রি করেছি ৬শত টাকা দরে।
তিনি আরো বলেন, আরো কিছু মাছ রয়েছে সবগুলো মাছ আমি প্রায় ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করার করছি।মাছ বিক্রি করে আমি অনেক লাভবান। সংসারও ভালো চলছে।