মোঃ মঈন উদ্দীন চিশতী, দিনাজপুরঃ
রাজ পরিবারের প্রথা অনুযায়ী দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কান্তনগর মন্দির হতে শ্রী শ্রী কান্তজীউ বিগ্রহ নৌপথে দিনাজপুর শহরের রাজবাটীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। রাত ৮ টার দিকে দিনাজপুর রাজবাটিতে পৌছাবে বলে জানা গেছে। শ্রী শ্রী কান্তজীউ বিগ্রহ নৌপথে দিনাজপুর শহরের রাজবাটীর উদ্দেশ্যে যাত্রার উদ্বোধন করেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঐতিহ্যবাহী কান্তনগর মন্দির হতে পূজা অর্চনা শেষে কান্তজীউ বিগ্রহ ঢেপা নদীর কান্তনগর ঘাটে আনা হয়। সেখান থেকে বিশাল নৌবহর নিয়ে যাত্রা শুরু হয় দিনাজপুর শহরের সাধুঘাটের উদ্দেশ্যে।
দীর্ঘ প্রায় ২৫ কিলোমিটার নদীপথে নৌকাযোগেদিনাজপুর আসার সময় হিন্দু ধর্মালম্বী লাখ লাখ ভক্ত নদীর দু’কুলে কান্তজীউ বিগ্রহকে দর্শনের জন্য ভীড় জমাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে আগত হিন্দু পূর্ণ্যার্থীরা তাদের বাড়ীর বিভিন্ন ফল, দুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদী নিয়ে শ্রী শ্রী কান্তজীউ বিগ্রহকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে আসে। এসময় নদীর দু’কূল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভীড়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।
কান্তনগর ঘাট থেকে দিনাজপুর শহরের সাধুরঘাট পর্যন্ত ৩০টি ঘাটে কান্তজীউ বিগ্রহ বহনকারী নৌকা ভিড়ানো হবে। এ কারণে বিভিন্ন ঘাটে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটেই পূর্ব থেকে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
রাত সাড়ে ৮ টায় কান্তজীউ বিগ্রহ সাধুঘাটে এসে পৌছালে দিনাজপুর রাজদেবোত্তর এষ্টেটের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিগ্রহ গ্রহন করবেন। পরে বিগ্রহটি শহরের বিভিন্ন মন্দিরে পুজা-অর্চনা শেষে রাজবাড়ী কান্তজিউ মন্দিরে স্থাপন করা হবে।
রাজ পরিবারের রীতি অনুযায়ী কান্তজীউ বিগ্রহ ৯ মাস কান্তনগর মন্দিরে এবং ৩ মাস দিনাজপুরের শহরের রাজবাড়ীতে অবস্থান করেন। সেই প্রথা অনুযায়ী যুগযুগ ধরে এই নিয়ম চলে আসছে। এই তিনমাসে রাজবাড়ীতে প্রতিদিন প্রভাতী নামকীর্ত্তণ ও প্রতি বাংলা মাসের প্রথম শনিবার কমিটির পক্ষ থেকেভোগের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ভক্ত প্রতিদিন ভোগের ব্যবস্থা করে থাকেন।
আজ শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় শ্রী শ্রী কান্তজিউ বিগ্রহ দিনাজপুরের
রাজবাড়ী কান্তজিউ মন্দিরে স্থাপন করা হবে।