আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।
সবজি বিক্রেতা শামসুল। পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃখ কষ্টের বোঝা মাথায় নিয়ে চলছিল তার সংসার। হঠাৎই তার শিশু কন্যা সাদিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে ধাবিত হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। তারপর থেকে শুরু হয় সাদিয়ার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষে দেখা গেছে তার একটি কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে। কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা। শামসুলের নিজস্ব কোন ঘরবাড়ি নেই, থাকেন ভাইয়ের বাড়িতে।
গত ১৯শে ডিসেম্বর বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিক আশরাফুল ও সাংবাদিক সাইফ উদ্দিন আল আজাদ তাদের এস কে বাংলা নিউজ ও ডাক টিভি ইউটিউব চ্যানেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত শিশু সাদিয়া 'বাঁচতে চাই' বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। উক্ত প্রতিবেদনটি মানবতার সেবক প্রবাসী জয় নেহালের নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও একজন মানবাধিকার কর্মী শাহীন রেজার সাথে মোবাইলে পরামর্শ করেন।
পরবর্তীতে ২০ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে সাংবাদিক শাহীন রেজা, এজাজ উচ্ছ্বাস, মঙ্গলবাড়িয়ার সাংবাদিক আশরাফুল ও সাংবাদিক সাইফ উদ্দিন আল আজাদের সঙ্গে নিয়ে সাদিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার একটি কিডনি অপসারণ করার জন্য জয় নেহালের পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। একটি কিডনি অপসারণ করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন যে অর্থ তার পিতার পক্ষে সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিকল কিডনিটি দ্রুত অপসারণ না করলে অপর কিডনিটিও বিকল হয়ে যেতে পারে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। এ কারণেই মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু ছাত্রী সাদিয়ার দ্রুত অপারেশনের প্রয়োজন।
এ বিষয়ে প্রবাসী জয় নেহাল এক ক্ষুদেবার্তায় সমাজের বিত্তবানদের উদ্দেশ্য বলেন, 'দশের লাঠি একের বোঝা' শিশু বাচ্চাটির জীবন বাঁচাতে আপনারা তার পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করুন। সহায় সম্বলহীন একজন সবজি বিক্রেতার একার পক্ষে ব্যয়বহুল খরচে কিডনি অপারেশন সম্ভব নয়। সর্বশেষ তিনি সমাজের সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।