আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল হোসেন আরজুর জামিনে মুক্তির খবর শুনে আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগের নেতা-কর্মী ও তার সমর্থকেরা।
আজ শুক্রবার সকালে আরজুর জামিনে খবর শুনে উপজেলার কয়া ইউনিয়ন থেকে এক বিশাল মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে আপামর জন সাধারণ। জেলা কারাগার থেকে আরজুকে নিয়ে আনন্দ মিছিলটি কয়াতে তার নিজ বাস ভবনে এসে শেষ হয়।
গতবছর ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও জাল টাকাসহ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল হোসেন আরজুকে (৩৫) গ্রেফতার করে র্যাব-৬। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, জাল টাকা ও র্যাবের ওপর হামলার অভিযোগে ৩টি মামলা করা হয়।
সেচ্চাসেবক লীগের নেতার এই গ্রেফতারের অভিযানকে কেন্দ্র করে সেই সময় জেলা ব্যাপী র্যাবকে নিয়ে তুমুল বিতর্কের ঝর উঠে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে। রাসেল হোসেন আরজুকে গ্রেফতারে র্যাবের ভুমিকা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামতের সৃষ্টি হয় জনমনে।
গ্রেফতারের পর আজ দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পর আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) সকালে কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান কুমারখালীর এই তরুণ জনপ্রিয় সেচ্চাসেবক লীগ নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিন আদেশ বিজ্ঞ আদালত থেকে জেলা কারাগারে পৌছায়।
জনপ্রিয় এই নেতার জামিনের খবর শুনে গতকাল বিকেলেই কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের সামনে শতশত নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা জড়ো হতে শুরু করে, জামিনের কোন একটি কাগজ কম থাকায় গতকালের জায়গায় আজ সকালে মুক্তি পান আরজু।
দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস পর প্রিয় নেতাকে দেখে নেতাকর্মীরা আবেগ আপ্লূত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। সেই সময় অনেকেই আরজুকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ষড়যন্ত্র মূলক ফাঁসানোর অভিযোগ করেন উপস্থিত জনতা। নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে আরজুর মত আর কোন নেতা যেন এমন ঘৃণিত ষড়যন্ত্রর শিকার না হয় সেদিকে প্রশাসনকে নজর রাখার আহবান জানান।
মুক্তির পর রাসেল হোসেন আরজু সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি বিষন্নতায় ভুগছিলাম,মনোবল ভেঙে গিয়েছিল আমার কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর সাধারণ মানুষের যে উপস্থিতি আর তাদের ভালবাসায় আমি অভিভূত। আমি মানুষ হিসেবে কেমন তা সাধারণ মানুষ জানে আমার আর কিছুই বলার নেই।
আরজু মুক্তির খবরে কুমারখালী থানা সেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো বলেন, মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা থেকে জামিনে মুক্তিতে আমরা আনন্দিত। তার মত এতো জনপ্রিয় নেতার অভাব আমরা এ কয়মাসে বুঝতে পেরেছি।
উল্লেখ্য যে, সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া কুমারখালী উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জন নন্দীত নেতা রাসেল হোসেন আরজু গত ইউপি নির্বাচনে কয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চেয়ে ছিল।