আসিফ জাহান
বিশেষ প্রতিনিধি কুলাউড়া
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বখাটেদের হামলায় রায়হান উদ্দিন রহমান (২২) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলা চালিয়ে রায়হানের কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে অভিযুক্ত বখাটেরা। এ ব্যাপারে আহত যুবকের পিতা মো. আব্দুল বারী থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পৌর শহরের থানা রোডস্থ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, পৌর এলাকার থানা রোডের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত নোমান আহমদের পুত্র আদিল আহমদ (২০), ৩ নং ওয়ার্ডের মানিক আহমদের পুত্র রিজন আহমদ (১৯), একই ওয়ার্ডের আব্দুল হাসিমের পুত্র সামি হাসান (২০), দক্ষিণ মাগুরার আব্দুল কাইয়ূমের পুত্র সাইফ আহমদ (২২) ও একই এলাকার মাসুম আহমদ (১৯) এবং তানভীর আহমদ (২০)।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছর দুয়েক ধরে অভিযুক্তরা পৌরশহরের থানা রোড ও মাগুরা আবাসিক এলাকায় আড্ডাবাজী ও বখাটেপনা করে আসছিলো। আবাসিক এলাকায় সড়কে শোরগোল, বেপরোয়া গতি ও বিকট শব্দে মোটরসাইকেল চালিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো। এরাকার কোন বাসিন্দা এসব বখটেপনা কর্মকান্ডের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করলে উল্টো ওই যুবকদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হতেন। এ জন্য ভয়ে অনেকে মুখ খুলতেননা।
দুইদিন আগে স্থানীয় এক বাসিন্দার সাথে বখাটেপনা করার সময় রায়হান ও তার পিতা আব্দুল বারী ওই যুবকদের বাঁধা দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানা রোড দিয়ে রায়হান যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বখাটে ওই যুবকরা তার পথরোধ করে। এ সময় বখাটেদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রায়হানকে বেধড়ক মারধর করে এবং রায়হানের কাছে থাকা টাকা ছিনিয় নেয়। স্থানীয়রা শোরগোল শুনে এগিয়ে এলে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা তাঁকে মাথা ও শরীরের মারাত্মক জখম করে। রায়হানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান ও বখাটেদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
রায়হানের পিতা আব্দুল বারী ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে জানান, থানারোডের বাসিন্দারা এই যুবকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে তটস্ত থাকেন। এই এলাকার বাসিন্দাদের শান্তি বিনষ্ট করছে। ওই যুবকদের আচরণ অনেকটাই কিশোর গ্যাংয়ের মতো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নিলে এলাকার বাসিন্দাসহ এ পথে চলাচলকারীরা এদের অপরাধের শিকার হবেন। তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে যাবে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ রায় হামলার ও অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তরা পালিয়ে থাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।