কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবুকে পৌরসভার মধ্যে হত্যার হুমকি দিলেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ তারিখ দুপুর ২ ঘটিকার সময়। এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল ইসলাম বাবু রাত ১১ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার নং ৬৩৬ তারিখ ১১/০৫/২০২২।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবুর সঙ্গে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন, চৌড়হাঁসের ডিস ব্যবসায়ী কনিকা ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক এর প্রোপাইটার মোঃ আতিয়ার রহমান ও ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী ডটকম কেবল টিভির নেটওয়ার্কের মকবুল হোসেনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মীমাংসা করার লক্ষ্যে গতকাল পৌর মেয়র কার্যালয়ে বসে একটি সমাধান করার কথা ছিল। তার দেওয়া তথ্য ও দলিলপত্র দেখে জানা যায়, গত ৬/৮/২০১৯ তারিখের ডিস ব্যবসায়ের চুক্তি পত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন তিনি শুধু কবুরহাট, দোস্তপাড়া, খাজানগর ও শান্তির মোড় এলাকায় ডিস লাইনের সিগন্যাল সাপ্লাই দিতে পারবেন। কিন্তু এই মকবুল হোসেন চুক্তি আইন অমান্য করে চৌড়হাস এর মধ্যে লাইন সংযুক্ত করতে গেলে মূল ব্যবসায়ী কণিকা ক্যাবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
তিনি আরো বলেন, দুই পক্ষের সমাধানের লক্ষ্যে কনিকা ক্যাবল নেটওয়ার্কের সকল ডিলাররা আমাকে সঙ্গে নিয়ে কুষ্টিয়া পৌর কার্যালয়ে উপস্থিত হয় বিষয়টি মীমাংসা করার লক্ষ্যে। কিন্তু বর্তমান প্যানেল মেয়র উক্ত সাব ডিলার মকবুলের সাথে যোগসাজশে গোপনে দেন-দরবার আর্থিক দেনদরবার করে চলে যান। কিন্তু আমরা উপস্থিত হলে মকবুলকে তখন পাই নাই।
অবশেষে পৌর মেয়র আনোয়ার আলী সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসার সময় প্যানেল মেয়র পৌরসভা এলাকায় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ হুমকি প্রদান করে। তিনি বলেন যে তার আদেশ নির্দেশ মোতাবেক কাজ না করলে আমাকে মারপিট করিয়া চিরতরে পঙ্গু সহ আমার অঙ্গহানি করবে। জিডিতে এটাও উল্লেখ আছে যে শাহীন সহ তাহার সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী দিয়া পৌরসভার মধ্যে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। যাহার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেক্রেটারি সহ সকল সাব ডিলার উপস্থিত ছিলেন। তিনি এটাও বলেন অবশেষে আমি নিরুপায় হয়ে রাত ১১ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
অপরদিকে প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিন বিকেলে কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবুর নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ১১/০৫/২০২২ তারিখে একই দিনে একই সময়ে পরপর দুইটা সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং ৬১২ ও ৬২৪। একই ঘটনার জন্য দুইটা ডায়েরি হাওয়াই বিষয়টি জনমনে হাস্যকরে পরিণত হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল ইসলাম বলেন, হুমকির ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।