কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে উপ- নির্বাচন আগামী ১২ই জুন। মেম্বার কাজল সন্ত্রাসীর হামলায় নিহত হওয়ার কারনে ওয়ার্ড টি তে উপ- নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (৭ জুন) মধ্যরাতে তিন প্রার্থীর বাড়িতে এ দাফনের সামগ্রী পাঠানো হয়। এতে ছিল কাফনের কাপড়, গোলাপজল, সাবান, আগরবাতি।নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী।
ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে নিজাম উদ্দিন, টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে বকুল আহমেদ বিপুল,মোরগ প্রতীক নিয়ে শামিম হোসেন, ফুটবল প্রতীক নিয়ে সিদ্দিকুর রহমান, তালা প্রতীক নিয়ে ছাপাতন নেছা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এসব কাফনের সামগ্রী পেয়েছেন তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, বিপুল, সিদ্দিকুর ও নিজাম উদ্দিন।প্রার্থী বিপুল বলেন, আমি নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন ভাবে বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছি। বুধবার দিবাগত মধ্যরাতের যে কোন সময় আমার বাড়ির ভিতরে কাফনের কাপড়, গোলাপজল , সাবান ও আগরবাতি রেখে গেছে। আমি নির্বাচনের প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরে এগুলো দেখতে পাই। আমি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চাচ্ছি। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিদ্দিকুর ও নিজাম উদ্দিন বলেন, নির্বাচন প্রচার শেষে আমরা বাসায় ফিরে দেখি বাড়ির ভিতরে কারা যেন একটি পলিথিন ব্যাগে কি রেখে গেছে। সাথে সাথে থানায় ওসি সাহেব কে জানালে পুলিশ আসে এবং সেই পলিথিনের ভিতরে কাফন, গোলাপজল, সাবান, আগরবাতি পায়।
আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আর মাত্র তিন দিন পরে ভোট এখন যদি মৃত্যুর আগে কাফনের কাপড় রেখে যায় তাহলে সাধারন মানুষ তো আর ভোট সেন্টারে যাবে না। তাই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য ও আমাদের জীবনের নিরাপত্তা জন্য প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ফাতেমা খাতুন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যা যা করা দরকার সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুজিবুর রহমান বলেন , মেম্বার প্রার্থীরা মুঠো ফোনে আমাকে জানান আমাদের বাড়ির ভিতরে কারা যেন পলিথিন ব্যাগে কি ফেলে রেখে গেছে। আমি সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে পলিথিন ব্যাগে থাকা কাফনের কাপড় সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করি। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে।