1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
কুষ্টিয়া এনজিওর থাবা থেকে অসহায় পরিবারকে রক্ষা করতে প্রবাসী জয় নেহালের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ - dainikbijoyerbani.com
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন
ad

কুষ্টিয়া এনজিওর থাবা থেকে অসহায় পরিবারকে রক্ষা করতে প্রবাসী জয় নেহালের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ১১২ Time View

কুষ্টিয়া এনজিওর থাবা থেকে অসহায় পরিবারকে রক্ষা করতে প্রবাসী জয় নেহালের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

তারিকুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের ভয়াল থাবা থেকে অসহায় নিরন্ন পরিবারকে রক্ষা করতে আমেরিকা প্রবাসী জয় নেহাল একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার সকাল এগারোটার সময় কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে একটি চায়ের দোকানদারকে তার প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করে তার হাতে তুলে দিলেন তার প্রতিনিধিরা।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে বট গাছের নিচে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ড্রেনের উপর একটি ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল মিরপুর নওদা গোবিন্দপুর এলাকার মৃত আশরাফুদ্দিন মালিথার ছেলে আনিসুর রহমান আনিস। তার পরিবারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে একটি নবম শ্রেণীতে পড়ে, অন্যটি ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত আছে। পুরা পরিবারটি তার উপর নির্ভরশীল। হঠাৎ করেই তার জীবনে নেমে আসলো একটি কালো অধ্যায়। পরপর দুইবার হার্ট অ্যাটাক করে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার শরীরের ডাল দিকের একটি অংশ অকেজো হয়ে পড়ে। একটি সাইট পঙ্গু হয়ে পড়ার মত অবস্থা।
তার দোকানটি বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আনিস স্ট্রোক করে বিছানায় পড়ে আছে। প্রতিমাসে তার ৫০০০ টাকার ঔষধ লাগছে বর্তমানে। ঔষধ পত্র খেয়ে একটু সুস্থ হয়ে বর্তমানে তিনি এখন পুনরায় চায়ের দোকানে বসে ব্যবসা করছেন কিন্তু তার কোনো পুঁজি নেই। যা ছিল অসুখে পড়ে সব নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি লোনের জন্য বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ঠিক তখনই প্রবাসী জয় নেহাল কে বিষয়টি অবহিত করি।
প্রবাসী জয় নেহাল তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দেন আমি তাকে কোনো নগদ অর্থ দিব না, তবে তার দোকানে যে সমস্ত পণ্য সামগ্রী বিক্রয় হয় তা আমি ক্রয় করে দিব। যাহা কথা তাহাই কাজ। পরদিন টাকা পাঠিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আনিসের মুখ থেকে জেনে নেওয়া হলো তার দোকানে কোন কোন ধরনের পণ্য বিক্রি হয়। তার মুখ থেকে শোনার পর মুহূর্তে কুষ্টিয়ার কিছু সমাজকর্মী মামুনুর রহমান মান্নু, শাহীন রেজা, পলাশ, আবু হায়দার নিপু, সাকিব, টুকু, তোতা, উক্ত পণ্য গুলো ক্রয় করে আজ সকালে তার হাতে তুলে দেন।
কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের যারা অধ্যায়নরত ছিলেন তারা অবশ্যই আনিসকে চিনবেন বলে মনে করি। কারণ তাকে আমরা স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় অনেক জ্বালিয়েছি, সেই আনিস আজ মরণব্যাধি রোগ নিয়ে অতি কষ্টে দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তার পাশে দাঁড়ানোর মত জিলা স্কুলে অধ্যায়নরত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বর্তমানে কুষ্টিয়ার অনেক বিত্তবান রয়েছে তাদের মধ্যে আমরা কাউকে এখনো খুঁজে পাই নাই, পেয়েছি একজন মানবপ্রেমী, মানবদরদী দেশ প্রেমিক ব্যক্তি, যিনি কুষ্টিয়া জন্মভূমির মায়া ত্যাগ করে সুদূর আমেরিকার বোস্টন শহরের পরিবার-পরিজন নিয়ে এই করোনাকালে প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন। কিন্তু তার মন সব সময় পড়ে থাকে কুষ্টিয়ার মাটিতে।
প্রবাসীর জয় নেহাল তিনি এক বার্তায় বলেন, আমি প্রবাসে থেকে আমার প্রিয় জন্মভূমি কুষ্টিয়ার মানুষকে যতটুকু পারি আমার সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করে যাব। শুধু আপনারা আমার কানে একটু দিবেন আমার সাধ্যমত আমি চেষ্টা করে যাবো। সেই সাথে আমার ও আমার পরিবার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আপনাদের পাশে থেকে সেবা করে যেতে পারি।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি