আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
"মুজিব বর্ষে শপথ করি,দূর্যোগে-জীবন সম্পদ রক্ষা করি" প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে সকল মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়াতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিভেন্স সপ্তাহ-২০২১ উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুষ্টিয়ার সহকারি পরিচালক রতন কুমার নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জলা প্রশাসক মোঃ সাইদুল ইসলাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের সাফল্য কামনা করে বলেন, আমি আশা করি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর কর্মীরা নতুন উদ্যমে সাহস, সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন এবং নিরাপদ বাংলাদেশ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ,গড়ে তুলতে সক্ষম হবো ইনশাহআল্লাহ। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুষ্টিয়া বর্তমানে বৃহৎ শক্তিশালী। তবে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ডুবুরি দল না থাকায় পানিতে ডুবে যাওয়া মানুষ ও যানমাল উদ্ধারে প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে কুষ্টিয়ায় ব্যাপকহারে বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর কাছে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় উদ্ধার অভিযানে অনেক ধরনের বাঁধার সমুক্ষিন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর নিজস্ব ডুবুরি দল ও আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি। কুষ্টিয়া জেলার ৬ উপজেলার মধ্যে ৫ উপজেলায় ফায়ার স্টেশন চালু, এর মধ্যে ১ টি প্রথম শ্রেণীর, ৩ টি ২য় শ্রেণীর এবং ১ টি ৩য় শ্রেণীর ফায়ার স্টেশন আছে।এর মধ্যে প্রকল্প ২৫ (সংশোধিত-৪৬) এর আওতায় দৌলতপুর ফায়ার স্টেশনের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য ২০২১ সালের জানুয়ারি হইতে অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে ৩৩৭টি। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১৭,৪৭৭,৫০০ টাকা। উদ্ধার করা হয়েছে ৫৫,৩৪৬,০০০ টাকা। দূর্ঘটনা ঘটেছে ১০১ টি, এতে আহত হয়েছেন ৭৫ জন এবং নিহত হয়েছেন ৬জন। মহড়া দেওয়া হয়েছে ১২৭ টি। তার মধ্যে সরকারি ৩৩ টি ও বেসরকারি ৯৪টি। গনসংযোগ হয়েছে ১১৪ টি। প্রশিক্ষণ হয়েছে ১৭টি। প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহন করেন ৩৫২ জন। তার মধ্যে পুরুষ ২৫৮ ও ৯৪ জন মহিলা প্রশিক্ষণার্থী অংশ গ্রহন করেন। ফয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুষ্টিয়া ভবন পরিদর্শন করেন ১৮ টি। এর মধ্যে সরকারি ভবন ১০ টি, বেসরকারি ভবন ৮ টি, সন্তোষজনক ১৩ টি, ঝুকিপূর্ণ ৪ টি এবং ১টি অতি ঝুকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শন করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কুষ্টিয়া ও ভলেন্টিয়ারর ফর বাংলাদেশ কুষ্টিয়ার সদস্যরা, সাংবাদিকগণ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুষ্টিয়ার সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।