আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নে বীর বেড় কলোয়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মিয়ার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক বাদী হয়ে কুমারখালি থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন। এজাহার সুত্রে জানাযায় কয়া ইউনিয়নের বেড় কলোয়া গ্রামের কেদো শেখ এর ছেলে ইয়ার শেখ ও আলী হোসেনের ছেলে নেতা শামিমের নেতৃত্বে স্থানীয় আলতাফ শেখ, আতিয়ার, বাবলু,পারভেজ, নাছের, শাবুল শেখ শফিকুল, আব্দুর রহমান, হোসেন, ওলিদ,আকাশ হোসেন,সবুজ,আমিরুল শেখ,শরিফুল ইসলাম, আরিফুল,দেলোয়ার, গত ২৭ জুন বিকেলে হাতে বন্দুক, শটগান, হাসুয়া, ছোরা,বেকী, লোহার রড, বাশের লাঠি, কাঠের বাটাম দিয়ে প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে আব্দুল খালেকের কালশিরা জখম করে ফেলে এবং বাড়ির মধ্যে থাকা আব্দুল খালেকের পুত্রবধূর মোছা মারুফা ইয়াসমিন টিনা উপহ হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এছাড়াও আবদুল খালেকের ভাতিজার জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলার চালিয়ে বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর এবং বাড়ির ভেতরে ঢুকে সোকেজে থাকা ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আব্দুল খালেকের চাচাতো ভাই দুলালের বাসাতেও সন্ত্রাসী হামালা চালানো হয় এসময় বাড়িতে থাকা টেলিভিশন, ফ্রিজ ভাংচুর চালায় এছাড়া আরেক চাচাতো ভাই বাসাতে ঢুকে ২৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক লুট করার অভিযোগ উঠেছে এবং আব্দুল খালেকের আরেক প্রতিবেশী ভাই মালেক মন্ডলের বাড়িতে ঢুকে মালেক এর উপর হামলা চালায় এতে মালেকের কালশিরা জখম হয় এবং বাড়ির দরজা, জানালা ভাংচুর করে এছাড়াও আব্দুল খালেকের আরেক চাচাতো ভাই এর বাসাতেও হামলা চালানো অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে দিনেদুপুরে এ ধরনের হামলার ঘটনায় এলাকায় চাপা আতংক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক বলেন আমি আমার জিবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি তবে এই স্বাধীন দেশে আজকে দিনেদুপুরে ইয়ারুল ও শামিমের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার এবং আমার পরিবারের উপর নিশংসভাবে হামলা চালিয়েছে। আমি এই হামলার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই
এ বিষয়ে কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন আমি নিজে ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।