নরসিংদীর প্রতিনিধি:
নরসিংদীর রায়পুরায় নামধারী ছাত্রদল নেতাকে মারধরের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও জেলা ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা ছাত্রদল। মূলত মামলার বাদীর সাথে তার আত্মীয়দের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা ছাত্রদল।
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে শহরের আরশীনগরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানান জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে রায়পুরা পৌর এলাকার কিশোর গ্যাং নামধারী ছাত্রদল নেতা আব্বাস আলী ওরফে নাহিদ তাকে মারধরের অভিযোগে রায়পুরা থানায় এই মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল (৩৪), আদিয়াবাদ ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম প্রধান রুবেল (৩০), চর আড়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা জেলা ছাত্রদলের সদস্য শাহ পরাণ (২৮), রায়পুরার অলিপুরা ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে রাফসান শাওন (২৩) ও পৌর এলাকার শ্রীরামপুরের মুছা মিয়ার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (২৫)।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নজরুল ইসলাম অপু জানান, মামলার বাদী আব্বাস আলী ওরফে নাহিদের সাথে তার আত্মীয়দের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে নাহিদ মারধরের শিকার হয়। মামলার তিন নম্বর আসামি মো. আবদুল্লাহ সম্পর্কে নাহিদের ভাতিজা। তাদের মধ্যে জমি নিয়ে চলমান বিরোধকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রায়পুরার কৃতি সন্তান ইকবাল হোসেন শ্যামলকে জড়ানো হয়েছে। এছাড়া মামলার বাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতা পরিচয়দানকারী আব্বাস আলী ওরফে নাহিদকে জেলা ছাত্রদল চিনে না। জেলা ছাত্রদলের জানামতে সে ছাত্রদলের সাথে জড়িত নয়, সে চার বছর মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিল। মালয়েশিয়ায় কারাভোগের পর দেশে ফিরে ডাকাত দলের সাথে মিশে ডাকাতি করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ৪ মাস কারাভোগ করে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও জেলা ছাত্রদলের দুই নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলার সঠিক তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম অপু, সদস্য সচিব মাইন উদ্দিন ভূইয়া, যুগ্ম আহবায়ক শাম্মির রহমান টিপু, মো. ছফিউল্লাহ ভুইয়া, জাহিদ হোসেন জাপ্পি, সদস্য ওবায়দুল হক রুবেল, আশিক সুজন মামুন ও শাহিন মিয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।