জাকির হোসেন সুমন সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার চানপুর, বুড়দেও, ঢালারপাড় গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। এতে নিঃস্ব হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি পরিবার। এছাড়া অব্যাহত ভাঙনে হুমকিতে আছে আরও অনেক বাড়িঘর ও স্থাপনা।
এমন অবস্থায় স্থানীয়দের অভিযোগ,ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না থাকায় নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ শোনাচ্ছেন বড় পরিকল্পনার গল্প।
তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য পুনর্বাসনের ব্যাপারে বলেন, যারা ভাঙ্গনের শিকার তাদেরকে আমি ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি। এবং মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে যে ঘরের কার্যক্রম রয়েছে আমি তাদেরকেও এসব ঘরের আওতায় নিয়ে আসব বলে আশ্বস্ত করেছি।
এছাড়াও ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বাঁধ নির্মাণে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য আরও বলেন, ২০২০ সালে যখন ভাঙ্গন শুরু হয়, তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টিম এসে পরিদর্শনও করেছে।
কিন্তু ইদানীংকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বস্তায় বালু ভরে ভাঙন থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটি পর্যাপ্ত না। সেটা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব। এজন্য আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ইদানীংও একটি চিঠি দিয়েছি।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ উপজেলা প্রশাসন থেকে বার বার চিঠি দেওয়া হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেই তাদের কাজ শেষ করেছেন। কিন্তু এ অভিযোগ অস্বীকার করে ভাঙন এলাকার নকশা তৈরির পাশাপাশি ক্ষুদ্র ভাঙনগুলো নিয়ে একটা বড় প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ.কে.এম. নিলয় পাশা বলেন, চানপুর গ্রামে ৬০০ মিটারের মতো ভাঙন আছে। এটি ইতোমধ্যে আমরা নকশা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তা পরিদর্শন করে নকশা প্রণয়ন করেছেন। সে মোতাবেক এখন আমরা কাজ আগাবো। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জের সকল ভাঙন নিয়ে একটি বড় প্রকল্প করে কাজের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply