কোম্পানীগঞ্জে পিতার হাতে পুত্র খুন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার তেলিখাল গ্রামে পিতার হাতে মারধরের শিকার হন পুত্র দুলাল (৩৫)। রাত ৮টার দিকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মিম্বর আলীকে আটক করেছে। তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের মরদেহ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত দুলাল দুষ্ট প্রকৃতির লোক ছিল। কোন কাম-কাজ করত না। বাবা-মার সাথে খারাপ আচরণ করত। বাবাকে মারধর করত। ঘটনার দুদিন আগেও সে তার বাবার সাথে খারাপ আচরণ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে তার ছোট ভাই হেলালকে (২৪) মারধর করছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পিতা মিম্বর আলী। কাঠের একটি বর্গা দিয়ে তিনি দুলালকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে দুলাল নিস্তেজ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে সে মারা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান জানান, দুলাল প্রায়ই তার বাপ-মাকে মারধর করত। সে দেড় বছর আগে পার্শ্ববর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলায় বিয়ে করে। সে তার স্ত্রীকেও খুব মারধর করত। নির্যাতন সইতে না পেরে এক মাস আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, ‘দুলাল তার বাপ-মাকে মারধর করত। দুদিন আগেও সে তার বাবাকে মেরে মাথা ফাটিয়েছে। বৃহস্পতিবার সে তার ছোট ভাইকে মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিতা তাকে বর্গা দিয়ে আঘাত করেন। মিম্বর আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছেলেকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বাবা। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।