কয়রায় পানি বন্দি মানুষের চরম দুর্ভোগ
ঘরবাড়ি ও মৎস্য ঘেরে ব্যাপক ক্ষতি
মোহাঃ ফরহাদ হোসেন
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছাসে কয়রার ৬ টি পয়েন্টের পাউবের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে মৎস্য ঘের তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পান্ িবন্দি অবস্থায় মানুষ সিমাহীন কষ্টের মধ্যে দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাগর হোসেন সৈকত বলেন, কয়রায় ইয়াসের তান্ডবে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের সব এলাকায় কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকায় ঘর ভেঙে পড়েছে। অনেক এলাকায় ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের সংখ্যা ৭ হাজার। এর মধ্যে ৫০ টি ঘর সম্পুর্ন ১২ শ ঘরবাড়ি আংশিক ও ৫৮ শ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সকল এলাকার মানুষ এখনও পানি বন্দি অবস্থায় দিন যাপন করছে। এর ফলে প্রায় লক্ষধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম আলউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইয়াসের জলোচ্ছাসে কয়রা উপজেলায় ২১ শ মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য মাছের পুকুর ডুবে গেছে। মৎস্যখাতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কৃষির ব্যাপক ফসল নষ্ট হয়েছে। গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়র খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করছে। কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ভেঙে যাওয়া বাধেঁর মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ির পবনা, দশহালিয়া ও উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতির গেরি বাঁধ এখনও বাঁধা সম্ভব হয়নি। তবে দক্ষিন বেদকাশি ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ কোন রকম বাঁধতে সম্ভব হয়েছে। তবে এসকল বঁাধে জরুরী ভিত্তিতী কাজ করা প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন,বাঁধ বাঁধার কাজ চলছে। ইতিমধেও অনেক বঁাধ মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতা করা হবে। কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন,ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বাঁধ মেরামতের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। পানি বন্দি মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হবে তিনি জানান।