কয়রা খুলনা প্রতিনিধি
কত না হাজার ফুল ফোটে ভুবনেতে,/তার কিছু ফুল দিয়ে গাঁথা হয় মালা,বাকি ফুল ফোটে অনাদরে ঝরে যেতে।' গানের এ কথাগুলো যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে হোমিও প্যাথিক ডাক্তার দরিদ্র কবি অরুণ হালদারের জীবনে। প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন না পেয়ে অনাদরেই ঝরে পড়েছেন তিনি। অরুণ হালদার খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ফতেকাটি গ্রামের মৃত নৃপেন্দ্র নাথ হালদারের ছেলে। তার বয়স ৫৭ বছর। দুই পুত্র স্বামী স্ত্রী নিয়ে কোন রকমে সুন্দরবনের গোলপাতার ছাউনির ঘরে বসবাস করেন কবি অরুন হালদার। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হলেও তিনি ভেতরে ধারণ করে আছেন এক অসাধারণ প্রতিভা। ১৯৮৩ সালে গিলাবাড়ী হাইস্কুল থেকে এস এস সি পাশ করার পর হোমিওপ্যাথিক কলেজ থেকে ডাক্তারী পাশ করে হোমিও চিকিৎসায় নিয়োজিত থেকে ও আর্থিক সংকটের মধ্যে থেকেও কবিতা রচনা করেন। অরুণ হালদার মেধা ও মননে শৈল্পিক চেতনায় উজ্জ্বল এক ব্যক্তি। কবির একই গ্রামের আলহাজ্ব মোঃ মোহর আলীর পুত্র আমেরিকা প্রবাসী
মোঃ ফেরদৌস হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় মুক্তির মহানায়ক, মুজিব শতবর্ষ ও অগ্নি কন্যা নামের তিনটি সুবিশাল ও অসাধারণ কাব্যের বইগুলো গাংচিল এর প্রকাশনায় প্রকাশিত হয় । কাব্যগুলোর ভাষা, বক্তব্য ও ছন্দ অপূর্ব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত এ কবির জীবনে নেই কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তার একটাই ইচ্ছা- জীবন সায়াহ্নে একবার হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার স্বরচিত কাব্য গ্রন্থ গুলো নিজ হাতে দিতে চান ও নিজ কণ্ঠে পাঠ করে শোনাতে চান। তিনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন তার আদর্শকে। তাই মুক্তির মহানায়ক, মুজিব শতবর্ষ ও অগ্নি কন্যা ' নামের কবিতার বই গুলো রচনা করেছেন।
দরিদ্র হলেও কারও কাছে নিজের জন্য কিছু চান না তিনি। শুধু চান তার স্বরচিত পরবর্তী লেখা কবিতা গুলো তিনি অর্থের অভাবে প্রকাশিত করতে পারছেন না। তাই তিনি বিত্তবান দের কাছে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন পরবর্তী লেখা কবিতা গুলো প্রকাশিত করার।