শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি :-
পাইকগাছার সরল জিরোপয়েন্ট থেকে ব্রীজ অভিমূখী সড়ক বিভাগের আওতাধীন এক কিলোমিটার সড়কের উভয় পার্শ্বে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা সকল স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।রবিবার সকালে উপজেলার সদরে এ সড়কের উভয়ই পার্শ্বে থাকা অর্ধ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা খুলনা সওজ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা অনিন্দিতা রায় (উপসচিব) এর নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
অপসারণের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতির দ্বিতল ভবন, ডাঃ সুজন কুমার সরকার ও সাইদুর রহমানের এর ভবনের আংশিক, অবৈধভাবে গড়ে উঠা হোটেল, রেস্তরা, চায়ের দোকান, সেলুনি, ফলের দোকান সহ বিবিধ স্থাপনা ছিল। সরজমিনে জিরোপয়েন্টে গেলে হোটেল ব্যবসায়ী হোসেন, চায়ের দোকানদার আনার, ব্যবসায়ী ইলিয়াস সহ আরো অনেক দোকানদার নিজ উদ্যোগে স্ব স্ব স্থাপনা সরিয়ে নিতে দেখা যায়। অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময়ে অনেকে খুঁশি হয়েছেন। আবার অনেকেরই বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়। উচ্ছেদ অভিযানের কিছুদিনের মধ্যে আবার দখলদার দের দখলে চলে যায়। গতবার উচ্ছেদের পর ঐ জায়গা বাস শ্রমিকদের দখলে চলে যায়। সড়কের দু’ধারে বাস রাখায় এখানে যানজট লেগেই থাকে। পৌরসদরের প্রবেশ মূখে সওজ এর বাংলো নির্মাণ না করে ব্রীজ বা ওপারে অন্যস্থানে পরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করার কথা বলেছেন সুধীসমাজ। জিরোপয়েন্টে ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর গোলচত্ত্বর করার যে পরিকল্পনা রয়েছে তার কয়কগজ সামনে বাংলো নির্মাণ করলে সৌন্দর্য হারাবে, যানজট তৈরি বলে জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে দৈনিক জন্মভূমির এ প্রতিনিধির কাছে খুলনা সড়ক বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিম কাওসার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উচ্ছেদের আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হয়েছিলো। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় সকালে বুলডোজার দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আগে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমির সীমানা লাল পতাকা দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। একদিন ব্যাপী এ কার্যক্রমে সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। অপসারণকালে কিছু স্থাপনার স্থানীয়রা এক মাসের সময় নেন। সরকারী জমির ভিতর যে স্থাপনা গুলো আছে উনারা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেবে বলে দাবি করেন।
মানবিক দিক বিবেচনা করে স্থগিত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর বাকী অংশ কেউ না সরালে পরবর্তীতে আরেকটা দিন ধার্য করে উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এসময়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান পাটয়ারী, পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, স্থানীয় পুলিশ, সার্ভেয়ার, সংশিষ্ট কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply