খুলনার পাইকগাছায় কদর বেরেছে তালের শাঁসের
শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা (খুলনা )প্রতিনিধি:-
খুলনা জেলায় বিভিন্ন বাজারে উঠেছে ভেজাল মুক্ত কচি তালশাঁস বা তালের চোখ। গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ক্রেতাদের কাছে তালশাঁসের কদর বেশি।পাড়া-মহল্লার ফল বিক্রেতাদের ভ্যানগাড়িতে ডাবের পাশাপাশি মিলছে রসালো কচি তালশাঁস।
‘ঐ দেখা যায় তালগাছ, ঐ আমাদের গাঁ, ঐখানেতে বাস করে কানাবগির ছা’—এই চরণগুলো শিশুমনে একটা চিরস্থায়ী ছাপ ফেলে গেছে। গাঁয়ে এখন বকের ছানা থাক বা না থাক,গাছগুলো ভরে উঠেছে কচি তালে।
খাদ্যপ্রেমীরা বলেন, গরমে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ডাবের পানির পাশাপাশি ক্রেতাদের কাছে ভেজালমুক্ত তালশাঁসের কদর বেশি। আবার গত কয়েক বছরে ইফতারের উপকরণ হিসেবেও তালশাঁসের জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এবছরে রোজার মধ্যে থাকায় বিক্রয়ের চাহিদা ও বিক্রয় বেশি।
ফুটপথ ও ভ্যানের ওপর তীক্ষ্ণধার দায়ের আঘাতে শক্ত খোলস থেকে সরস তালশাঁস বা চোখ বের করে আনে বিক্রেতা।একটা তালে সাধারণত তিনটি করে শাঁস থাকে। প্রতিটি শাঁস বিক্রিয় করছে দুই থেকে তিন টাকা করে। আর একটা তাল বিক্রয় হচ্ছে পাঁচ টাকা।তালশাঁস কেবল স্বাদে ভালো না,শরীরের জন্যও এটা উপকারী।প্রথম উঠেছে,তাই দাম একটু বেশি।
তাল বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন,গরমের সময় ডাবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তালশাঁস বিক্রি হয়। কিন্তু এখন তাল গাছ কম থাকায় চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতাদের দিতে পারছি না।গত বছরে করোনার প্রভাবে কাস্টমার কম থাকায় তাল বেশি ক্রয় করতে পারি নাই এবারে একটু লোকজন বাজারে আসতে পারছে বিক্রি ভাল হচ্ছে।
তাল ক্রেতা সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম বলেন,ভেজাল মুক্ত মনে হয় একমাত্র তালের শাঁসই আছে। বর্তমানে তাল গাছ কম হওয়ায় অনেকে জানে না যে তালের শাঁস কি।তাল গাছ শুধু যে তাল শাস দেয় তা না গাছ থেকে রস হয়,সে রস হতে গুড় হয় যা সুন্দর সুষম ঘ্রার্ণে মন জুড়ে যায়।পাকা তালের শাস দিয়ে বিভিন্ন বাহারি পিঠা বানানো করে থাকে গ্রাম গজ্ঞের মহিলারা।তাল গাছের বৈশিষ্ঠ হলো বর্ষা কালে আকাশে বজ্রপাত হতে রক্ষা করে।আমাদের সকলের উচিত একটি করে তাল গাছ বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো।
সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে তালকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অপ্রচলিত ফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে তালশাঁসের অনেক পুষ্টিগুনে কথা বলা হয়েছে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন,তালশাঁসের বেশির ভাগ অংশ জলীয় থাকে।ফলে দ্রুত শরীর শীতল করার পাশাপাশি আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে শরীর দ্রুত পানি হারালে তা পূরণ করতে পারে। এ ছাড়া তালশাঁস শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে । ফলে সারা দিন ক্লান্তের পর অনেককেই পথের পাশে তালশাঁস বিক্রেতার কাছে ভিড় জমাতে দেখা যাচ্ছে।