শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি :-
পাইকগাছায় মহামারি করোনার মারাত্মক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত ৬৭ দিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার,নার্সসহ ১ হাজর ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়েছে ৩৭৬ জন। মারা গেছে ১৩ জন। সর্দি জ্বর হলেই করেনা আতংকে ভুগছে পাইকগাছা বাসী।
করোনা মুখপাত্র চিকিৎসক ইফতেখার বিন রাজ্জাক জানান, গত মে মাস থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে পজিটিভ এসেছে ৩৭৬ জন। মারা গেছে ১৩ জন। সুস্থ হয়েছে ১৪৪ ও আইসোলেশনে রয়েছে ৫৯ জন। এর মধ্যে স্বাস্থ কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ৫ ও নার্স ৪ জন।এম্বুলেন্স চালক, টিকিট মাষ্টার ও ক্লিনারসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোট ২১জন করোনা পজিটিভ। দিন যতই যাচ্ছে ততই এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৬৭ দিনের মে মাসে ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জন, জুন মাসে ৬৯৪ জনের মধ্যে ৩৩৬ জন, এবং ৬ জুলাই পর্যন্ত ২৩৬ জনের মধ্যে ১১৩ জনের করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়। এদিকে যেমন তেমন সর্দি জ্বর হলেই করোনা আংতকে ভুগছে সবাই। ডাক্তারদের কাছ থেকে আগের মত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা রোগীরা। কাছে ভিড়ছে না অতি আপন জনেরাও। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানান, সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু আমিসহ ১২ জন ডাক্তার যার মধ্যে খুলনা করোনা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ৫ জন। ইচ্ছা থাকার পরও শতভাগ সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন,করোনা মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ লাগার সাথে সাথে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৬০ লাখ টাকায়হাইফ্লোনেজাল ক্যানালা ও ১২টি বড় বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।যাতে ৩-৪ দিন পর পর ২৮ হাজার টাকার অক্সিজেন লেগেছে ।