খুলনা জেলা প্রতিনিধি
খুলনা ডুমুরিয়ায় কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন কৃষিমন্ত্রী।
আজ রবিবার (১২ই সেপ্টেম্বর) খুলনার ডুমুরিয়ায় ঘেরের আইলে অফসিজেন তরমুজ ও শিম চাষ প্রদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী।
পরবর্তীতে কুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় ডুমুরিয়া কৃষি অধিদপ্তর কৃষিবিদ মোঃ মোসাদ্দেক হোসেনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ।
প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যক্তব্য রাখেন,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনা অনেক।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা ধান, ডাল, তরমুজ, আলু, ভুট্টা, বার্লি, সূর্যমুখি, শাকসবজিসহ অনেক ফসলের লবণাক্ততাসহিষ্ণু উন্নত জাত উদ্ভাবনে করতে সক্ষম হয়েছে। এসব জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উপকূলবর্তী বিপুল এলাকার সব কৃষকদের মধ্যে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে। কৃষকরা এসব ফসলের চাষ করলে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় নতুন করে কৃষি বিপ্লব ঘটবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরও বলেন, 'দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। লবণাক্ততার কারণে এ এলাকায় সারা বছরে একটি ফসল হতো। আমন ধান তোলার পর বছরের বাকি সময়টা মাঠের পর মাঠ জমি অলস পড়ে থাকত। এই প্রতিকূল ও বিরূপ পরিবেশে বছরে কীভাবে দুবার বা তিনবার ফসল চাষ করা যায়- সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে আসছি। ইতিমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। এটিকে আরও সম্প্রসারিত করা হবে, যাতে এ এলাকায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা যায়।'
সেচের পানির সমস্যা দূর করতে খুলনা, বাগেরহাটে ৬০০'র বেশি খাল খনন ও পুন:খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য জনাব নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিভাত সরকার,কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি,কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ নাজিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.মোঃ শাহজাহান কবির, বাংলাদেশ সাগারক্রপ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আয়ুব খান,বাংলাদেশ মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিধান কুমার ভান্ডারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং এর পরিচালক একেএম মনিরুল আলম, বিসিএস ক্যাডার এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম, পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রধান প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চল, খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক জনাব জিএমএ গফুর, খুলনা জেলা প্রশাসক জনাব মনিরুজ্জামান তালুকদার সহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ,সুধীজন এবং কৃষক কৃষাণী।