দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি :
দিঘলিয়া নগরঘাট সংলগ্ন ভৈরব নদীর ফেরীঘাটে ফেরী পারাপারে ফেরী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট সংলগ্ন ভৈরব নদীর ফেরীঘাটটি খুলনা সড়ক ও জনপথের নিয়ন্ত্রণাধীন। সওজের পক্ষ থেকে গত জুন মাস থেকে ফেরীঘাটটি এ অর্থবছরে সরকারিভাবে ইজারা না দিয়ে খাস কালেকশনে রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ভ্যান, ইজিবাইক, প্রাইভেট কার, মাইক্রো বাসসহ সকল প্রকার ভারী ও হালকা বাস ও ট্রাকগুলোর ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু ফেরী পারাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ফেরীতে নিয়োজিত ড্রাইভার ও কর্মচাসীরা সকল যানবাহন পারাপারে নির্ধারিত টোলের চেয়ে বেশী টোল আদায় করছে। পারাপার যাত্রীদের বা গাড়ির মালিকদের আদায়কৃত টোলের রশিদ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছেনা। সরেজমিনে গিয়েও এর প্রমাণ মেলে। ফরমাইশখানার কাঠ বোঝায় দুই ভ্যান চালকের কাছ থেকে ভ্যান প্রতি ৫০ টাকা আদায় করা হয়। একটা প্রাইভেট কার পারে নেওয়া হলো এক পারে ২০০ টাকা। সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন ধরণের পারাপাররত যানবাহন চালকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, পরিবহন ভেদে নির্ধারিত টোলের চেয়ে চড়া টোল আদায় করছে। বিভিন্ন গাড়ি পারে ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছে। তবে পারাপারকৃত সকল যাবাহনে সরকারি রশিদ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কোন রশিদ দেওয়া হয় না। দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট সংলগ্ন ভৈরব নদীর ফেরী পারাপারে বিভিন্ন পরিবহনে নির্ধারিত টাকার চেয়েও উচ্চহারে টোল আদায় ও রশিদ না দেওয়ার ব্যাপারে কথা হয় সরকারি প্রতিনিধি শাওনের সাথে। তিনি এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি।তিনি পুরো ঘটনা নানা কৌশলে এড়িয়ে যান। খুলনা সড়ক ও জনপথের (সহজ) এসও হাবিবুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, ঘটনা সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।