মোঃখায়রুল ইসলাম হৃদয়.
(গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ)ঃ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়ন এর আওতাধীন টেংগারচর গ্রামের এক রাস্তার কাজের জন্য প্রায় ২০০বস্তা সিমেন্ট এনে রাস্তার পাশে খোলা স্থানে রাখেন মুন্সিগঞ্জের এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
আজ সকালে রাস্তা মেরামতের জন্য ঢালাই কাজ শুরু করার কিছুখন পরেই নামে মুষলধারা বৃষ্টি।ঠিকাদার নাম মাত্র আনুমানিক পনেরো মিটার ঢালাই রাস্তায় ফেলার পরপর বৃষ্টি, তেমন করে আর কিছু করিতে পারেনি সে পনেরো মিটার রাস্তার। অন্য দিকে দুই স্থানে রাখা সিমেন্ট গুলোর কিছু একটি বিদ্যালয়ের নিচে রাখিলেও বাকি সিমেন্ট গুলো রাস্তা ভেঙে রাস্তার পাশে থাকা গর্তে পরে যায়।এবং প্রায় এক ঘন্টার সমস্ত বৃষ্টি সে সিমেন্টের পেকেট এর উপর দিয়ে যায়।বৃষ্টিতে ভেজা সিমেন্ট এর পেকেট গুলোর আনুমানিক মুল্য ত্রিশ হাজার টাকা। তবে এ সিমেন্ট গুলো নাকি আজ শুক্রবার ১০/০৬/২০২২ইং রাস্তার কাজে লাগাবেন,স্থানীয়দের দাবি উক্ত সিমেন্ট গুলো নষ্ট হয়েছে সেগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী।
টেংগারচর ইউনিয়নের টেংগারচর গ্রামের ২নং ওয়ার্ড এর মাঝখান দিয়ে যাওয়া ১৩ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় হতে ১নং ওয়ার্ড এর আশ্রয় প্রকল্পের উত্তর পাশ পর্যন্ত রাস্তার মেরামত ৯" উচ্চা সমান করে পাথর,রড,দিয়ে আর সি সি ঢালাই হবে।তবে সেখানে রড এর পরিমাণ এবং ফাঁকা রাখার পরিমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।অন্য দিকে ঢালাই নাকি কম দিচ্ছে, যেখানে রাস্তার দুপাশ ৯" উচ্চতা সেখানে তারা ৬" সমান করে ঢালাই দিয়েচ্ছে।স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তার দুপাশের ইট ঢালাই এর পর ও নাকি কোথাও দুই ইঞ্চি কোথাও তিন ইঞ্চি সমান উচ্চা রয়েছে এবং ঢালাই নিচ্ছে রয়েছে, সে ক্ষেত্রে সড়ক এর পানি ঢালাই এর পর ২"/৩" সড়কেই জমে থাকিবে।জনগণের সে ভোগান্তি, ভোগান্তিই রয়েগেলো।
স্থানীয় এক ভুক্তভোগী সোহান জানান সে গত কাল বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার ঢালাই কাজের সময় উপজেলার প্রকল্প পরিচালক উপজেলা ইন্জিনিয়ার এর সাথে সে অভিযোগ জানালে তাকে জানান রাস্তার কাজ এসেছে ৭" ইঞ্চি আপনারা সাত ইঞ্চি বুঝে নিবেন।সোহান জানায় আমরা তো জানি রাস্তার কাজ এসেছে ৯" ইঞ্চি, তখন তিনি অশিকার করেন তিনি বলেন কাজের উচ্চা ৭" ঢালাই এর পর রাস্তার দুপাশের অতিরিক্ত উচ্চতার ইট আমরা কেটে দিবো, এমন টাই আমাদের জানান স্থানীয় ভুক্তভোগী।প্রায় পাঁচশত মিটার ঢালাই এর সরকার নিধারিত টেন্ডার পাশ হয় চল্লিশ লক্ষ টাকা।