মোঃ মনির হোসেন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের খোকন মিয়ার পরিবারের অভিযোগ শুক্রবার রাত আটটা ত্রিশ মিনিটের সময় খোকন মিয়া বাড়ি থেকে রাত্রের খাবার শেষ করে বাড়ির পাশেই চায়ের দোকানে আসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বাহির হয় এর মাঝে এসআই শামসুল আলম খোকন মিয়া পথ গতিরোধ করে তাকে মোটরসাইকেলে করে গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহমেদের কথা বলে থানাতে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক খোকনের ভাই মোঃ স্বপ্ন মিয়া এসআইকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে এস আই বলেন যে ওসি স্যারে থানায় নিয়ে আসতে বলেছেন ।এবং আরেকটি পরিবারের অভিযোগে জানান শুক্রবার দিন জুমার নামাজের পূর্বে শাহাবুদ্দিন তার ভাইয়ের বাসায় তার ভাই ভাতিজা সহ আরো কয়েকজনকে নিয়ে বসে গল্প করতে ছিলেন এমন সময় থানা থেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে মোটরসাইকেলে করে থানায় নিয়ে আসে স্থানীয়রা জিজ্ঞেস করলে সিভিল পুলিশ বলে থানার ওসি স্যারে নিয়ে যেতে বলেছে আপনারা থানায় আসেন। সবাই থানা যাওয়ার পর ওসি শনিবার দুপুর একটার সময় ময়মনসিং কোটে চালান করে দেয় পরে থানার গ্রুপ থেকে জানতে পারি তাদেরকে বারোবাড়িয়া ইউনিয়নের বাড়ার মোড় থেকে গভীর রাত্রে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেশীয় অস্ত্র সহ তাদেরকে গ্রেফতার করে । আমরা আশ্চর্য হয়ে যাই পুলিশ জনগণের বন্ধু এই কথাটি কিভাবে মেনে নেয়া যায় কারণ একজনকে সন্ধ্যা সময় অন্যজনকে দুপুরের সময় ধরে নিয়ে এদেরকে আবার রাত দুইটার সময় কিভাবে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য যে আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলছি যখন এলাকা থেকে ধরে আনে তখন নারী পুরুষ মিলে অনেক মানুষ উপস্থি ছিল। কিভাবে থানার হাজতে বন্দি থাকা অবস্থায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে পারে। এমন হয়রানি জুলুম নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এবং এমন অসৎ কর্মকর্তাদেরকে সরকার যেন শাস্তির আওতায় এনে সঠিক বিচার করে। পুলিশ জনতার বন্ধু এই শব্দটি দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের হৃদয়ে গেথে দিতে পারেন। খোকন মিয়ার বড় ভাই বলেন আমার ভাইকে ধরে নেওয়ার দশ মিনিট পর ওই এসআইকে ফোন দিয়েছি এসআই বলেছে ওসি স্যার নিয়ে আসতে বললেন আপনি থানায় আসেন এই কথাগুলো আমার কাছে রেকর্ড হয়ে আছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং আমার ভাইকে এইভাবে জুলুম নির্যাতন করার মাধ্যমে পারিবারিক এবং সমাজের মাঝে মানহানির শামিল। আমরা কর্মচারীদের সঠিক বিচার দাবি করছি।