মোঃমাজহারুল ইসলাম মলি
গলাচিপা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার কলেজ রোড ০৯ ওয়ার্ড গ্রামীণ ব্যাংকের উত্তর পাশে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও রিকশা চালক মো. নাসির খান (৫০) এর শেষ অবলম্বন ক্রয় ক্রীত সম্পত্তিতে জোর পূর্বক ঘর উঠানোর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার কাক ডাকা ভোরে প্রতিপক্ষ রেজাউল হাওলাদার রেজার নেতৃত্বে এ ঘর উঠানো হয়। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৪৪/১৪৫ ধারকে অগ্রাহ্য করে রেজাউল হাওলাদার রেজা প্রতিবন্ধী মো. নাসির খানকে মারধর করে জোর পূর্বক সে জায়গায় ঘর উঠান বলে জানাযায়। মো. নাসির খানের প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্র নং ৬৪২৯৯৪৬২৯৩-০৭। তিনি পিতাঃ মৃত্যু আ. রশিদ খানের পুত্র।
মো. নাসির খান জানান, হাজী মোতালেফ খানের এর কাছ থেকে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করি। লাল ভানু গং/নুর ভানু নামে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেন। যার ক্রমিক নং ০৮৫৩১৯১। এছাড়া, বর্তমান সাল পর্যন্ত ডি সি আর পরিশোধ করা হয়েছে। ডি. সি. ফরম নং/১২ (পি ১৩৪)। প্লটঃ ২৫২ (উঃ)। সেখানেও ঘর উঠানোর চেষ্টা চলছে।
শাহ আলম খান জানান, এ সম্পত্তি আমাদের পিতা মৃত্যু আবু আহমেদ খান বিক্রি করেন মৃত্যু ধলু হাওলাদার (রেজাউল হাওলাদার রেজার পিতা) এর কাছে সে বিক্রি করেন হাজী মোতালেফ খানের কাছে তিনি এ জমি বিক্রি করেন লাল ভানু, হাসিন বেগম ও মো. নাসির খান এর কাছে। রতনদী মৌজার জে এল নং ১০৮, সংশোধিত খতিয়ান নং ২৪১৩, দাগ নং ১৭৩৩, জমির পরিমান ০৭ শতাংশ। রেজাউল হাওলাদার রেজা কেন যবরদস্ত করছে সেটা বলতে পারিনা। ওরা শুধু শুধু মো. নাসির খানের সাথে বিরোধ করেছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের কোন কাগজ নেই। ইটালির টাকার জোর দেখাচ্ছে প্রতিবন্ধী মো. নাসির খানের উপর।
রেজাউল হাওলাদার রেজা সাংবাদিকদের উপস্থিতি পেয়ে ঘটনা স্থান থেকে সরে যায়। তার ছেলে রিয়াজ হাওলাদার (২২) কে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সে কিছুই জানেনা বলে স্থান থেকে সরে পরে।
গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি অবস্থায় সেখানে নতুন করে বসবাস করলে তাঁদেরকে বাহির করে দেওয়া হবে।