গাইবান্ধায় চরাঞ্চলের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে কাঠের সাঁকো !
মো: এনামুল হক
রংপুর ব্যুরো প্রধান
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি নড়বড়ে কাঠের সাঁকো। ঝুকিপূর্ণ এ সাঁকো পারাপারে একটু অসাবধানতায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের একটি (তিস্তা) শাখা নদী পরিপূর্ণ হলে ব্রিজের অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে খোদ্দা, চর খোদ্দা, লাঠশালা, বৈরাগী পাড়া, মন্ডলপাড়া গ্রাম ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজড়া এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাই গ্রামের কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত খোদ্দার ক্যানেলের তিস্তার শাখা নদী উপর বুড়াইল সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। বাধ্য হয়ে তারা নিজেদের খরচে নির্মাণ করেছেন একটি কাঠের সাঁকো। এবারের বন্যায় পানির তীব্র স্রোতে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাটাতনের দুই প্রান্ত ভেঙ্গে গেছে। তারপরেও থেমে নেই তাদের নিত্যদিনের চলাচল। ক্রমেই নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে কাঠের সেতুটি। একটু অসাবধানতায় প্রায় প্রতিদিনই পথচারী, বাই-সাইকেল, মোটর সাইকেল আরোহী, পণ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে যান। এছাড়া অতিকষ্টে চলাচল করে রিক্সাভ্যানসহ অন্য যান। প্রতিদিন গোটা চরাঞ্চলবাসীসহ বিভিন্ন এলাকার পথচারীরা এই ভাঙ্গা সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত পারাপার করেন। যদি সাঁকোটি ভেঙ্গে গেলে পুনরায় তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। এ ছাড়া হাজারও স্কুল, মাদরাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং দুই উপজেলায় সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন সাঁকোর উপর দিয়ে। ফলে সেখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।