গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ। তারা সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বুধবার (২১ মে) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের পরিচয় ও রাজনৈতিক পদবি নিচে তুলে ধরা হলো:
২ নম্বর উড়িয়া ইউনিয়ন: চেয়ারম্যান কামাল পাশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে মনোনীত হয়ে নির্বাচিত হন।
১ নম্বর কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন: চেয়ারম্যান সোহেল রানা শালু, সাধারণ সম্পাদক, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। তিনিও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত।
৭ নম্বর ফজলুপুর ইউনিয়ন: চেয়ারম্যান আনসার আলী মন্ডল, সহ-সভাপতি, ফজলুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
৫ নম্বর ফুলছড়ি ইউনিয়ন: চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম হান্নান মন্ডল, সহ-সভাপতি, ফুলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীকেই বিজয়ী হন।
৬ নম্বর এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন: চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক, এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। তিনি নৌকা প্রতীক ব্যবহার করেন।
৪ নম্বর গজারিয়া ইউনিয়ন: চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খুশু, তিনি জাসদ সমর্থিত।
পুলিশ জানায়, ফুলছড়ি উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। দল নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও তারা অনলাইনে পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল আমিন পালিয়ে যান। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “আটককৃতরা দলীয় পরিচয়ে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন। ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply