গাজীপুর প্রতিনিধি :
পুলিশ কনস্টেবল স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় পুলিশ কনস্টেবল স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ১৩ অক্টোবর গাজীপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে সিনিয়র বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মো.ইলিয়াস রহমান জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এবং মামলাটি বিচার নিষ্পত্তির জন্য চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন।
পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন শেরপুরের নকলার গজারিয়া পূর্ব গ্রামের মৃত আ.রহমানের সন্তান বর্তমানে ডিএমপিতে কর্মরত।
মামলা সূত্রে জানাযায়, ২০১৬ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় কনস্টেবল রোকসানা আক্তার ও আল আমিনের। বর্তমানে তাদের ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছেন। বিয়ের সময় বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ সাড়ে ৪ লাখ টাকার জিনিসপত্র রোকসানার পরিবার থেকে দেয়া হয় আল আমিনকে। পরবর্তী সময়ে তাদের দুজনের নামে গ্রামের বাড়িতে জমি ক্রয় করার কথা বলে রোকসানার কাছ থেকে প্রতারণা করে ১০ লাখ টাকা নেয় আল আমিন। এরপর আবারও যৌতুকের ৫ লাখ টাকা রোকসানার কাছে দাবি করেন আল আমিন। রোকসানা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর করে শিশু সন্তান সহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ বিভাগের উর্দ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে কোন সমাধান না পেয়ে রোকসানা আদালতে মামলা দায়ের করেন। আল আমিন বর্তমানে গাজীপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো.নাসির উদ্দীন জানান, আদালত আসামির কাছে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করার কথা জানতে চাইলে আসামি সংসার করবেনা ও রোকসানাকে তালাক দিয়েছে এবং দ্বিতীয় বিয়ে করেছে বলে জানায়। আদালত রোকসানার কাছে সতিনের সাথে সংসার করার কথা জিজ্ঞেস করলে সে সংসার করবে বলে জানায়। পরে আবারও আসামির কাছে জানতে চাইলে সে সংসার করবেনা বলে জানায়। আসামি বর্তমানে গাজীপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।