সাজিদুল করিম, নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় দরিদ্রদের পূনর্বাসনের জন্য সারাদেশে আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। এ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
জেলার সাতটি উপজেলায় ১ হাজার ৯৩৯জন ভূমিহীন ঘর উপহার পেয়েছেন। এরমধ্যে গুরুদাসপুরে দেওয়া হয়েছে ১৮৫টি ঘর। এসব মানুষদের স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করার জন্য আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নাটোর জেলা সারাদেশের মধ্যে মডেল হবে। সফল হতে আমরা সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক। তিনি আরো বলেন,পানি-বিদ্যুৎ, চিকিৎসা , কর্মসংস্থান সহ উপকারভোগীদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদে নারীদের জন্য ব্লক-বাটিকসহ হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মিনি শিশুপার্কের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধন শেষে উপকারভোগীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ত্রাণ সামগ্রী, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, ফলদ বৃক্ষ লেবু - পেয়ারার গাছ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন ডিসি শামীম আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ তমাল হোসেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল ইসলাম, গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আল ওয়াদুদ, মশিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান,পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঘর পরিদর্শনের সময় উপকারভোগীদের সার্বিক খোঁজখবর নেন ডিসি। এসময় ইউএনও মো.তমাল হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। মশিন্দা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২১ পরিবারের নারী ও পুরুষ সদস্যদের আত্মনির্ভরশীল হতে বিভিন্ন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি, বিদ্যুৎ বিশেষ করে করোনার টিকা সহ চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাওয়ার পর হুইল চেয়ারসহ বিভিন্ন উপহার পেয়ে প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ (৫৬) খুশিতে আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, ‘জীবনে প্রথম এতকিচু পানু। খুব খুশি হইচি। শেখের বিটি হাসিনাক বাঁচায় রাকুক আল্লাহ ।