সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ৫ নং পূর্ব আলিরগাও ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ধর্মগ্রামের মৃত সোনাহর আলির পুত্র নিমার আলি(৪০) ও তার পরিবার একই গ্রামের মৃত ওয়াহিদ আলির পুত্র আব্দুল মালিক গং কতৃক ভুক্তভোগী নিমার আলির ক্রয়কৃত জমি ও জমিতে থাকা গাছপালা জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দায়ের করার মামলার প্রেক্ষিতে নিমার আলির পরিবারকে হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।সরজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় উক্তো ইউনিয়নে খঁলাগাও সাকিনস্হ নিমার আলির তফশিল বর্ণিত জমি জে,এল নং ২৭৪ হইতে বিগত ১লা এপ্রিল আবদুল মালিকের নেতৃত্বে সকাল ৭ ঘটিকার সময় ভুমিতে থাকা বেশ কিছু গাছ জোরপূর্বক কেটে নেয়া হয়।এবিষয়ে নিমার আলির পরিবার বাঁধাগ্রস্হ করতে গেলে তাদের নানা ধরণে ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে তারা থানায় মামলা করতে গেলে সেই খবর পেয়ে ৬ ই এপ্রিল গভীর রাতে কেটে ফেলা গাছ গুলো ট্রলিযোগে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিমার আলি ও তার পরিবার গত কয়েকমাস যাবৎ সেই খরিদকৃত জায়গা যা বিগত তিন চার বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছিলো তাও আব্দুল মালিক ও ভাইয়েরা দখলে নেয়।নিরুপায় হয়ে নিমার আলি গত ২৫শে মে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবদুল মালিককে প্রধান আসামি করে মনিরুল ইসলাম বাবুল,আব্দুর রব,জসিমউদ্দিন,সাব্বির আহমদ ও রাহিম আহমেদ সহ ১০/১২ জনকে গং আসামি দিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞআদালত ২৮ মে তা আমলে নিয়ে অফিসার ইনচার্জ গোয়াইনঘাট বরাবর সি,আর,মামলা নং ১৫২/২০২৩ এর আদেশ প্রদানের প্রেক্ষিতে গত ১লা জুন অফিসার ইনচার্জ গোয়াইনঘাট মামলা নং ০২ ধারা ৩৭৯/৪৪৭/৪৪৮/১৪৮/৪২৭/৫০৬(২য় অংশ) পেনাল কোড ১৮৬০ হিসেবে রুজু করেন।তারপর মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান আসামি আবদুল মালিক ও বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।বর্তমানে তারা জেল হাজতে। এদিকে বিবাদীর পরিবারের নানান হুমকির শিকার হতে হচ্ছে নিমার আলির পরিবারকে। প্রতিবেদকের সাথে কথা বলে নিমার আলি জানান,আব্দুল মালিক জেলে থাকায় তার ভাই খালিক আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।আমার তিন ভাই দেশের বাহিরে থাকে।দুইভাই আমার সাথে থাকে, তারা খুব সহজ সরল। আমার একভাইকে গত কিছুদিন আগে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। বিবাদীরা খুব হিংস্র প্রকৃতির এবং মারামারিতে অভ্যস্হ।বিদেশের থাকা আমার অন্য তিন ভাইয়ের সহযোগিতার এই জমিগুলো কিনি কিন্তু এখন তা আমাদের চাষাবাদ করতে দেয়া হচ্ছে না।তাছাড়া এলাকার মসজিদ ও স্কুলের জায়গা দখলের অভিযোগও আছে আবদুল মালিক গংদের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে গ্রামের মুরুব্বি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের দারস্থ হলেও বিবাদিদের আলোচনায় আনা সম্ভব হয় নি। এখন আমার মামলা দায়ের পর মালেক ও বাবুল হাজতে আছে।কিন্তু বিভিন্ন উপায়ে আমি ও আমার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। তিনি তার পরিবারের নিরাপত্তায় বাকি আসামীদের গ্রেফতার সহ তাদের কবলে জবর দখল করে রাখা ভূমি সে ও তার পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের নিকট আবদার জানান।
Leave a Reply