সাজাদুর রহমান সাজু গোবিন্দগন্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
শ্রাবণ মাসে বৃষ্টিস্নানের পরিবর্তে রৌদ্রস্নান করছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ বাসী। প্রখর রৌদ আর গরমের সাথে আরেক উপসর্গ যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। পৌর শহরে বিদ্যুৎ এই আছে তো আবার টানা কয়েক ঘন্টা ধরে নাই। ঈদের পরের দিন থেকে শহরে চলছে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর ভ্যাপসা গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে পৌর শহরের জনগণ। পৌর শহরে ঈদুল আযহার পরের দিন থেকে বিদ্যুৎতের আসা যাওয়া চলছে। শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। বিদ্যুৎ সমস্যার তিন দিন অভিবাহিত হলেও রোববার বিকাল পর্যন্ত ত্রুটি লাইন সনাক্ত করতে পারেনি তারা। কবে নাগাদ এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট শেষ হবে এবিষয়ে সঠিক ভাবে কিছু বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এর সাথে যুক্ত হয়েছে তীব্র রৌদ্র আর ভ্যাপসা গরম। ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি বিহীন উপজেলা। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির কোন দেখা নাই। মাঝে মাঝে আকাশ মেঘলা হলেও পরক্ষণেই তীব্র রৌদ্র উঁকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষ যেন অস্থির হয়ে উঠেছে। পৌর শহরের একতা পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ রাখু আক্ষেপ করে ফেসবুক এক পোস্টে বলেন, “গোবিন্দগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিস তোমাকে হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,কোন লোডশেডিং সারা বিদ্যুৎ এর যে অবস্থা মনে হচ্ছে বাসায় ডেকে এনে ঈদের সমস্ত খাবার বিদ্যুৎ অফিসের স্টাফদের কে খাওয়াই। মায়ামনি মোড়ের ব্যবসায়ী উজ্জ্বল চন্দ্র মহন্ত বলেন, ঈদের পরের দিন থেকে ভ্যাপসা গরমের সাথে বিদ্যুৎতের লুকোচুরি খেলা চলছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে কয়েক ঘন্টায় আসার নাম থাকছে না। বিদ্যুৎ অফিসে বললেও কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
নেসকোর স্থানীয় কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় নেসকো কার্যালয় ফল্ট (ত্রুটি) সনাক্তে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।