ঘোড়াঘাটে জোড়া খুনের ঘটনায় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শনে- পুলিশ সুপার
এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জোড়া খুনের ঘটনায় উত্তেজিত জনতার অগ্নিসংযোগে পুড়িয়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শন করলেন জেলার পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ,পিপিএম-সেবা।
(২৭শে জানুয়ারি) শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার খোদাদাত পুরের হঠাৎ পাড়ায় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে আসেন পুলিশ সুপার।পরে হঠাৎ পাড়া মোহাম্মাদিয়া জামে মসজিদ এ জুম্মার নামাজ শেষে উপস্থিত মুসল্লি এবং অগ্নি সংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের সাথে কথা বলেন।শেষে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে ক্ষয়ক্ষতি সম্বন্ধে অবগত হন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট এর অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বিরামপুর-নবাবগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার একেএম ওহিদুর নবী,ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির,ওসি তদন্ত জয়ন্ত,ঘোড়াঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ভুট্ট,২নং ওয়ার্ড মেম্বার নাহিদুল ইসলাম সহ অনেকে।
জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান,দু'টি হত্যা কাণ্ডকে কেন্দ্র করে অতি উৎসাহী কিছু লোকজনের ইন্দনে দাফন শেষে উত্তেজিত লোকজন এসমস্ত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।সেই সাথে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকে গরু ছাগল সহ বেশ কিছু জিনিস চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা।এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বাকি চুরি হয়ে যাওয়া গরু উদ্ধারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ আইনি সহযোগীতা করা হবে।বর্তমানে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।তাছাড়া যদি কেউ আবার কোন অপচেষ্টা করার চেষ্টা করে তবে তাদের কে কঠোর হাতে দমন করা হবে।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া তিনি আরও জানান,হত্যাকান্ডে জড়িত এজাহার নামীয় পাঁচ জন আসামির মধ্যে চারজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।আর একজন কে আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাকেও আটক করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২৫ তারিখ বুধবার মনোয়ার হোসেন মিম ও রাকিব হোসেনকে হত্যা করে ওমর আলীর পরিবার সহ অজ্ঞাত নামা বেশ কয়েক জন।এই হত্যা কান্ডের জের ধরে প্রায় ৩৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষের লোকজন।